পারফরম্যান্সই শেষ মাপকাঠি? নতুন করে ঢেলে সাজাতে মমতা অক্লেশে ছেঁটে ফেললেন যে আট হেভিওয়েটকে তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম এবং দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তার কাছে কাজ শেষ কথা। এক্ষেত্রে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় নিজের ক্যাবিনেটে বদল আনতেও দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যারা কাজ করবেন না, তাদের জন্য তিনি যে বিন্দুমাত্র রেয়াত করবেন না, তা বিভিন্ন সময় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে তৃতীয় বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্য মন্ত্রিসভা গঠনের দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। কারা কারা এই নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, তার জন্য কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের মন্ত্রিসভা যে অত্যন্ত সচেতন ভাবেই পরিচালনা এবং গঠন করতে চলেছেন, তা বলাই যায়। একদিকে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে যারা যারা রাজ্য মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তাদের পারফরম্যান্স বিচার করে যেমন জায়গা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই নতুন যারা বিধায়ক হয়েছেন, তাদের মধ্যেও বেশকিছু গ্রহণযোগ্য মুখকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিচ্ছেন বলে খবর। তবে অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হলেও, প্রায় 8 জন বিদায়ী মন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন না। যা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। জানা গেছে, তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে বেশকিছু হেভিওয়েটের ডানা কাটা পড়েছে। বিদায়ী তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তপন দাশগুপ্ত। তবে এবার তাকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি অসীমা পাত্র থেকে শুরু করে আশিস বন্দোপাধ্যায়ের মত অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এছাড়াও তাপস রায়, নির্মল মাঝি, মন্টুরাম পাখিরা, জাকির হোসেন এবং গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। স্বাভাবিকভাবেই বেশকিছু হেভিওয়েট মন্ত্রীরা নতুন তৃণমূল সরকারের আমলে তালিকা থেকে বাদ পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি বিদায় সরকারের আমলে এই সমস্ত মন্ত্রীদের কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর তাই নতুন সরকার যে মন্ত্রিসভা গঠন করছে, সেখানে আট হেভিওয়েট মন্ত্রীকে জায়গা দিলেন না তিনি? একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার অত্যন্ত সচেতনভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। তিনি পুরোনো এবং নতুনের সংমিশ্রণের মন্ত্রিসভা গঠন করে বাংলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। সেদিক থেকে বিদায়ী সরকারের আমলে যে 8 জন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাদেরকে দায়িত্ব না যাওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে আটজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে নতুন মন্ত্রিসভায় সংযুক্ত না করার কারণে তারা কিছুটা হলেও বেকে বসতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য কথা শোনা যাচ্ছে সেই সমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ভোটে জিতে আসা বিধায়কদের গলায়। এদিন এই প্রসঙ্গে তপন দাশগুপ্ত বলেন, “নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি একদম ঠিক। আমি আজকে যা কিছু হয়েছি, সবটাই নেত্রীর জন্য। দিদির প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা এবং ভরসা রয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে অসীমা পাত্র বলেন, “দল যেভাবে বলবে, সেই মত কাজ করব। মন্ত্রী হতে পারলাম না বলে কোনো দুঃখ নেই। নতুনরা আসবে, এটাই স্বাভাবিক।” একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত কখনই ভুল হয় না। দলের নির্দেশ মত কাজ করে যাব বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, কখনও কখনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। হয়ত বা সেদিক থেকে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে যাতে কারো মনে কোনো প্রশ্ন না থাকে, তার জন্য নিজের মত করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে এই আটজনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার পেছনে তার কাছে যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে এই সমস্ত হেভিওয়েট বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রীরা যদি দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেন, তাহলে তা যে তৃণমূলের কাছে খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -