এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দাপুটে গেরুয়া নেতা ‘সেজে’ লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে অবশেষে পুলিশের জালে! দায় এড়াল বিজেপি

দাপুটে গেরুয়া নেতা ‘সেজে’ লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে অবশেষে পুলিশের জালে! দায় এড়াল বিজেপি

ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে পদ প্রতিপত্তি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে পয়সা আদায় করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে রাজনৈতিক দলের নাম করে এবং লাভজনক সংস্থার সদস্য পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পয়সা হরন করা নতুন বিষয় বলেই মনে হচ্ছে। নিজেকে ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি বলে দাবি করা রাহুল সাউ নামে জনৈক ব্যক্তি রেলওয়ে ইউজারস কনসালটেটিভ কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থনৈতিক দুর্নীতি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঋষিকেশ থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস আগে বেহালা নিবাসী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সরশুনা থানায় অভিযোগ করেছিলেন, জেনারেল রিসার্চ কনসালটেটিভ কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে 70 লক্ষ টাকা নিয়েছে 1 ব্যক্তি। যদিও বা এই ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী বলেন, “রাহুল সাউ দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য নন এবং উনি কোনো পদে নেই।”

তবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে রাহুলবাবু নিজেকে ভারতীয় জনতা মজদুর ইউনিয়নের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। রাহুল সাউর অ্যাকাউন্টে 9 দশমিক 73 লক্ষ টাকা যাওয়ার নথিপত্র পেয়েছেন। অভিযোগকারী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাহুলবাবু তার কাছ থেকে 70 লক্ষ টাকা নিয়েছে। সেই সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্টও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের তদন্তে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা মুকুল রায়ের নামও উঠে এসেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু গোটা ব্যাপারটাকে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছিলেন মুকুল রায়। পরবর্তীতে এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে পেরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিট গঠন করা হয়। তদন্তের স্বার্থে সিটের আধিকারিকরা দিল্লি গিয়ে দেখেন, সন্তুবাবুকে যেই সুপারিশে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সে চিঠি জাল নয়, তার মেমো নাম্বার ঠিক রয়েছে। এছাড়াও সন্তুবাবু যেরকম অভিযোগ করেছিলেন যে, তাকে নিয়ে সংসদ ভবনে যাওয়া হয়েছিল, সেই প্রমাণ মিলেছে সংসদ ভবনে ঢোকার জন্য যে সাংসদ সুপারিশ পত্র দিয়েছিলেন দিল্লি থেকে, তার নাম এবং প্রমাণপত্র পাওয়া যায়।

এছাড়াও বিশেষ তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসে, কোনো এক বড় মাপের বিজেপি নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাহুল সাউ এবং সংগঠনে রাহুল সাউয়ের জায়গা গড়ার ব্যাপারেও ওই নেতার ভূমিকা যথেষ্ট। ওই বড় নেতাই সন্তুবাবুকে রাহুল সাউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। এর আগে রাহুল সাউকে গ্রেফতার করা হলে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্টের তরফ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসে হাইকোর্টে রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নেয়।

এরপর থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল রাহুল সাউকে। কারণ পুলিশের দাবি, অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট হাতে আসার পরে অভিযুক্তকে জেরা করা অত্যন্ত জরুরী। পলাতক রাহুল সাউ ঋষিকেশ রয়েছে বলে খবর পায় কলকাতা পুলিশ এবং সেখান থেকেই একটি বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে তদন্তের বিষয়ে রাহুলবাবু যে টাকা নিয়েছিলেন, সেটা কোনো বড় নেতার কাছে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনার যদি প্রকৃত তদন্ত হয়, তাহলে অনেক বড় বৃত্তান্ত সামনে আসতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!