এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার কোভিড শ্মশানের ডোমই করোনা আক্রান্ত! চূড়ান্ত আতঙ্ক শুরু হাওড়ায়! মৃতদেহ সৎকারে জট!

এবার কোভিড শ্মশানের ডোমই করোনা আক্রান্ত! চূড়ান্ত আতঙ্ক শুরু হাওড়ায়! মৃতদেহ সৎকারে জট!


রাজ্যের করোনা সংক্রমণের ছবিটি যে খুব একটি আশাব্যঞ্জক নয়, সে কথা এতদিনে পরিষ্কার সবার কাছেই। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত তাড়াতাড়ি করোনা বিদায় নেবে না। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের যে কয়েকটি জেলা করোনা আক্রান্তের নিরিখে তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছিল, তার মধ্যে হাওড়া জেলা অন্যতম। প্রথম থেকেই হাওড়া জেলাকে করোনা সংক্রমণের তালিকার নিরিখে রেড জোন করে দেওয়া হয়েছিল, যা এখনও বর্তমান।

বরং পরবর্তীতে একের পর এক কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়েছে হাওড়ায়। এই পরিস্থিতিতে আরো একবার দুঃসংবাদ হাওড়া জেলা থেকে। এবার করোনা আক্রান্তের সৎকার করতে করতেই শ্মশানের ডোমও করোনায় আক্রান্ত হলেন। হাওড়া জেলায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানার পুলিশ, হাওড়ার জেলা হাসপাতালের সুপার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার শিবপুর শ্মশানের ডোম। এতদিন ধরে কলকাতা ও হাওড়ার করোনায় মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করা হচ্ছিল হাওড়া শিবপুর শ্মশানে।

এবার সেই শ্মশানের ডোম কর্মীও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাওড়া পুরসভার সাত শ্মশানকর্মী এবং তিনজন সাব-রেজিস্ট্রারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি যে কয়েকজন এখনো কোয়ারেন্টাইনে যাননি, তাঁদের পক্ষে করোনার মৃতদেহ সৎকার করা যে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর একের পর এক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি হাওড়া শিবপুর থানা সহ হাওড়া থানা, ডিসি অফিসের লোকজন আক্রান্ত হন। এমনকি তিন পুলিশকর্মীকেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় নতুন করে শ্মশান ঘাটের ডোম করোনা আক্রান্ত হওয়ায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাওড়া এলাকায়। যদিও মৃতদেহ সৎকারের সময় অন্যান্য কর্মীদেরও পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, তা সত্ত্বেও কিভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন ওই ডোম, তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

এ প্রসঙ্গে সোমবার পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, “একজন ডোমের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তারপর থেকে দু’দফায় 10 জন কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়েছে।” আপাতত হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে শ্মশানে রেজিস্টার এর তথ্য নথিভূক্ত করার মতো কেউ নেই। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত উক্ত শ্মশানে যে তিনজন কাজ করছেন তাঁরা নিজেরাও অত্যন্ত আতঙ্কিত বলে জানা গিয়েছে। হাওড়া পুরসভা থেকে এমনিতেই বলা হয়েছে, ওই তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে না পাঠালে তাঁদেরও সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পাশাপাশি মাত্র তিনজন মিলে কিভাবে প্রতিদিন সৎকারের আয়োজন করবেন এবং কিভাবে মৃতদের তথ্য নথিভূক্ত করবেন তা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে হাওড়া পুরসভা। যদিও হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, যেহেতু মৃতদের আত্মীয়রা সৎকারের সময়ে শ্মশানে উপস্থিত থাকছেন না, তাই পুরসভার রেজিস্টারে মৃত ব্যক্তির কোনো তথ্য এই মুহূর্তে নথিভুক্ত করা হচ্ছেনা বলে জানানো হয়েছে। পুরসভার তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক শুধুমাত্র মৃতদের নাম এবং ঠিকানা নথিভুক্ত করে রাখছেন।

হাওড়া জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যে যথেষ্টই খারাপ সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। যদিও হাওড়া জেলাতে রীতিমতো কড়া ভাবে লকডাউন পালন করা চলছে। নির্দেশ অনুযায়ী হাওড়া জেলাতে প্রতিনিয়ত চলছে পুলিশি টহল। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাওড়া জেলার পরিস্থিতি শোধরানোর কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়া জেলা রয়েছে রেড জোনে। তারপরেও হাওড়া জেলার করোনার সার্বিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি কেন হয়নি তা নিয়ে এবার উঠছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!