এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পেট বড় বালাই! নিজের সদ্যোজাতকে বিক্রির চেষ্টা দম্পতির! আটকালো প্রশাসন, এই বাংলার বুকেই!

পেট বড় বালাই! নিজের সদ্যোজাতকে বিক্রির চেষ্টা দম্পতির! আটকালো প্রশাসন, এই বাংলার বুকেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট এতদিন পর্যন্ত অভাবের কারণে অনেককেই দেখা গেছে, ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতে। কিন্তু একেবারে সন্তান বিক্রির অভিযোগে থানায় হাজির এবার ভাঙড়ের এক দম্পতি। এবং একটি নাটকীয়তায় ভরা দৃশ্যপট তৈরি হল ভাঙড় থানায়। একের পর এক সন্তানের জন্মের পর স্বাভাবিকভাবেই  দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙড়ের এক দম্পতি। আর লকডাউনের বাজারে তাই সর্বশেষ সন্তানটি যার সাতদিন মাত্র বয়স, তাঁকে অন্যের হাতে তুলে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ওই সদ্যোজাতের বাবা মা।

কিন্তু আগেভাগেই পুলিশের কাছে খবর আসে। পুলিশ এবং চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় এবং ওই দম্পতি হাজির হন ভাঙড় থানায়। সাত দিনের সন্তানকে নিয়ে থানায় বসে পরিস্থিতির বর্ণনা দেন দম্পতি। ভাঙ্গড় 2 ব্লকের ওই অভাবী দম্পতির 6 টি সন্তানের মধ্যে এটি কনিষ্ঠতম। কিন্তু ঘরে নিত্য দিনের অভাব বেড়েই চলেছে, যে কারণে সদ্যোজাত সন্তানকে নিজের কাছে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হবার আগেই খবর যায় বারুইপুর মহকুমা চাইল্ডলাইনের কাছে।

এবং এ ব্যাপারে চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য চায় আর এই ঘটনা হতে আটকানো হয়। এ ব্যাপারে চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আধিকারিক উভয়ের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই অভাবী দম্পতি আর্থিক পরিস্থিতির কারণে সন্তানকে বড় করে তোলা কঠিন অনুভব করেন আর তাই তাঁদের সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তবে ওই দম্পতি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তান বিক্রির কোনো পরিকল্পনা ছিলনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধুমাত্র লালন-পালনের জন্য এক আত্মীয়ের হাতে সন্তানকে তুলে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। তবে প্রশাসনের নির্দেশে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে নিজেদের কাছেই রাখবেন বলে জানিয়েছেন। তবে সদ্যজাত শিশুটির মা অনুরোধ জানিয়েছেন, সরকার যাতে তাঁদের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করে বা যে কেউ তাঁদের সন্তানকে দত্তক নিতে পারেন। তবে গোটা ঘটনাটি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন চাইল্ডলাইনের কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ বসু।

আপাতত ওই দম্পতি যাতে সুষ্ঠুভাবে তাঁদের সন্তানকে লালন পালন করতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে চাইল্ডলাইন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দম্পতি যাতে দ্বিতীয়বার আবার সন্তান হস্তান্তরিত করার ব্যাপারে কোনো রকম পদক্ষেপ না নেয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। আজকের দিনেও নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার মতন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে যখন, তখন বুঝতে হবে খাদ্যের অভাব এই মুহূর্তে কোন জায়গায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!