এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাতে কেন্দ্র কিছু করবে না, রাজ্যগুলিকে ট্যাক্স কমাতে পরামর্শ মন্ত্রীর!

পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাতে কেন্দ্র কিছু করবে না, রাজ্যগুলিকে ট্যাক্স কমাতে পরামর্শ মন্ত্রীর!

এ যেন “গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া”।   দেশে পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে সারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস, বাম সহ একাধিক বিরোধী দলগুলো। আর এরই মাঝে ফের মধ্যবিত্তের পকেটে আগুন জালাতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হল। সূত্রের খবর, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য কমে যাওয়াতে গত শনিবার  লিটারপিছু পেট্রলের দাম ৩৯ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৪৪ পয়সা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শনিবারের পর রবিবারও যে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে তা আঁচ করতে পারেননি কেউই।

এদিন ফের এই পেট্রোপন্যের দ বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিতে লিটারপিছু পেট্রলের দাম হয়েছে ৮০ টাকা ৩৮ পয়সা এবং প্রতি লিটার ডিজেলের দাম হয়েছে সর্বোচ্চ ৭২ টাকা ৫১ পয়সা। অন্যদিকে শহর কলকাতায় পেট্রলের দাম যেখানে লিটার প্রতি ৮৩ টাকা ২৭ পয়সা সেখানে ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ৩৬ পয়সা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতীতে বহুবার এই পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে এবং মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে বিরোধীদের তরফে   কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে শুল্কছাড় দেওয়ার অনুরোধ করলেও আন্তর্জাতিক বাজারে  তেলের দামের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাখারিজ করে দেয় কেন্দ্র। এমতাবস্থায় যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা ঠিক তখনই সেই বিরোধীদের জবাব দিয়ে পরোক্ষে এই মূল্যবৃদ্ধির দায় রাজ্যের দিকেই ঠেলে দিলেন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, এদিন ভুবনেশ্বরের এক অনুষ্টানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। ইরান ভেনেজুয়েলা, তুরস্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেক তেলের যোগান দিতে না পারায় এই সমস্যা হচ্ছে।” পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে রাজ্যগুলির যে এই পেট্রল এবং ডিজেলের করে ছাড় দেওয়া উচিত এদিন সেই ব্যাপারেও নিজের মত জানান এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি এই পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে পেট্রল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানান পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সব মিলিয়ে পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে বিরোধীদের ডাকা বনধের আগের দিনে নিজের সেই মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে রাজ্যের ঘাড়েই দায় চাপালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!