প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সেস প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যার জেরে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন সাধারন মানুষ। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত নিজেদের লভ্যাংশ প্রত্যাহার করেনি। আর সেই বিষয় নিয়েই কার্যত বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার কি শেষ পর্যন্ত তাদের লভ্যাংশ প্রত্যাহার করবে, সেই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই গোটা বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। বরঞ্চ মদের দাম কমিয়ে যাতে আরও হাঁসখালি করা যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। স্বভাবতই বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য যে রাজ্য সরকারকে কার্যত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন বারাসাতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাদের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত স্বস্তি পাবে। কিন্তু এই রাজ্য সরকার সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। এই কথা বলতে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, 97 হাজার কোটি টাকা কোথায়! আমফানের সময় বাড়ি, পানের বরজ, গরুর নাম করে প্রচুর টাকা নিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। তাই আমার মনে হয়, রাজ্য এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। বরঞ্চ রাজ্য সরকার চেষ্টা করবে, কি করে মদের দাম কমানো যায়! আর সেই কাজ করে হাঁসখালির মতো ঘটনা ঘটানো যায়। এই তো রাজ্যের পরিস্থিতি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নিজেদের সেস প্রত্যাহার না করে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা কার্যত সীলমোহর পাবে। যার ফলে এতদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে যেভাবে লাগাতার কটাক্ষ করত রাজ্য, সেই কটাক্ষ নিয়েও উঠতে শুরু করবে প্রশ্ন। যেখানে কেন্দ্র তাদের লভ্যাংশ প্রত্যাহার করল, সেখানে কেন রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে অনেকেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করবেন। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য রাজ্যের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।