পিএফ-পেনশন নিয়ে বড়সড় নতুন সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র সরকার – জানুন বিস্তারিত জাতীয় September 3, 2019 ফের নতুন এক নিয়মের পথে কেন্দ্র। এবার থেকে পিএফ বাবদ বেতন থেকে কত টাকা কাটা হবে, তা ঠিক করবেন কর্মচারীরা বলে জানা গেল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রক পিএফ সংক্রান্ত যে নতুন আইন আনতে চলেছে, তার খসড়ায় এমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যে খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে, বেতন থেকে পিএফ কাটার ব্যাপারে আলাদা আলাদা হার নির্দিষ্ট করা থাকবে। তার মধ্যে থেকেই কর্মচারীরা কোন হারে তিনি পিএফ কাটাবেন তা বেছে নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে এই হার ১২ শতাংশ হলেও খসড়া আইনে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, কর্মচারী যে হারেই পিএফ কাটান না কেন, কর্মদাতা সংস্থা তার দেয় টাকার কোনও পরিবর্তন করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে হাতে পাওয়া বেতন ‘বৃদ্ধি’র সুযোগ পাবেন কর্মচারীরা। কেননা তাদের মোট যে টাকা পাওনা, তার থেকে পিএফ বাবদ ১২ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। আর সেই হার যদি কমে যায়, তাহলে মাসের শেষে হাতে আসা নগদ বেতনের অঙ্ক স্বাভবকিভাবে বেড়ে যাবে। তবে কর্মচারীরা কম হারে পিএফ কাটাতে বাধ্য নন। এটি সম্পূর্ণভাবেই তাঁর নিজের ইচ্ছার ব্যাপার। অন্যদিকে কোনও কর্মচারী যদি পিএফের পেনশন স্কিমে না থেকে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে টাকা জমা করতে চান, তার সুযোগও তাকে দিতে চায় কেন্দ্র। বস্তুত, গত ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয় যে, যারা কম বেতন পান, তাঁদের মাইনে থেকে পিএফ কাটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু কত টাকা বেতন হলে পিএফ কাটা হবে, তা জানানো হয়নি। আর বর্তমানে গ্রাহককে পিএফ সংক্রান্ত সুবিধা দিতে যে নতুন বিল আনতে চলেছে সরকার, তা ওই ভাবনারই কিছুটা প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, নতুন বিলের নাম ‘দি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডস অ্যান্ড মিসলেনিয়াস প্রভিশনস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল’। যেখানে খসরা বিলে বলা হয়েছে কর্মচারীর পিএফ বাবদ টাকা জমা করার বিষয়ে নমনীয়তা রাখার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। পিএফের গ্রাহক, এমন যে কোনও কর্মচারীর ক্ষেত্রে সেই সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পিএফের হার কত হবে, তা নির্ভর করবে কর্মচারীর আয়, বয়স, লিঙ্গ প্রভৃতির উপর। তবে কর্মদাতা সংস্থার যে টাকা দেওয়ার কথা, তার কোনও পরিবর্তন হবে না। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, যদি নগদ বেতন হাতে বেশি পাওয়ার জন্য কেউ প্রভিডেন্ড ফান্ডে কম টাকা কাটানোর পথে হাঁটেন, তাহলে চাকরিজীবন শেষে তাঁর পিএফের প্রাপ্য টাকাও কমবে। সেই দিকটি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত গ্রাহকের। অন্যদিকে পিএফ গ্রাহকরাও যাতে নতুন পেনশন স্কিমে আসতে পারেন, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের বাজেটে সেই প্রস্তাবও রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রস্তাবকে কার্যকর করতেই পেনশনেও ওই নতুন নিয়ম আনতে চাইছে শ্রমমন্ত্রক। তবে নতুন এই খসড়া বিলটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের থেকে এখন শ্রমমন্ত্রক পরামর্শ চাইতে শুরু করেছে। যার পরই এতে সিলমোহর দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে তারা বলে মত একাংশের। আপনার মতামত জানান -