এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল, এবার তোলা নিয়ে বিরোধ চরমে তৃণমূল নেতার

ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল, এবার তোলা নিয়ে বিরোধ চরমে তৃণমূল নেতার

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বাংলার। আর সেই সময় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবারও উঠে এলো দুর্নীতির অভিযোগ। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এলাকায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ তুললেন এলাকার এক ঠিকাদার। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার জের থানা-পুলিশ পর্যন্ত এগিয়েছে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এখনো তদন্ত সূত্র ধরে কোনো সঠিক তথ্য প্রকাশ পায়নি বা অভিযুক্ত কে তা জানা যায়নি।

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রেমনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন সেখানকার ঠিকাদার জ্যোতি চন্দ। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা প্রেমনাথ ঘোষাল এই জ্যোতি চন্দর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামে বাস করেন তৃণমূল নেতা প্রেমনাথ। তাঁর স্ত্রী সোমা তৃণমূল পরিচালিত জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। পাঁচড়া পঞ্চায়েতের কয়েকটি কাজের বরাত পান ঠিকাদার জ্যোতি চন্দ। আর সেই কাজের ব্যাপারেই তথ্য জানতে চেয়ে গত 5 ই নভেম্বর তথ্য জানার অধিকার আইনে ঠিকাদার জ্যোতি চন্দকে চিঠি দেন তৃণমূল নেতা প্রেমনাথ। তারপরেই গন্ডগোল চরমে ওঠে।

প্রেমনাথ অভিযোগ করেন, ঠিকাদাররা তাঁকে ফোনে হুমকি দেন এবং বলে আরটিআই প্রত্যাহার না করলে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী পুত্রকে খুন করা হবে। যদিও তৃণমূল নেতা প্রেমনাথ যে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঠিকাদার জ্যোতি। সূত্রের খবর, ঠিকাদার জ্যোতি পুলিশের কাছে পাল্টা প্রেমনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তোলা চাওয়ার। জ্যোতির সহযোগী ঠিকাদাররাও একই অভিযোগ জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভয় দেখিয়ে প্রেমনাথ ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করছেন বলে অভিযোগ। দুর্গা পুজোর আগে তাঁদের কাছে মোটা টাকা তোলা চেয়েছিলেন প্রেমনাথ বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদাররা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় আরটিআই করে তাঁদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জ্যোতি জানিয়েছেন, আরটিআই দায়ের করার জন্য তাঁদের বিলের পেমেন্ট পেতে দেরি হবে। অন্যদিকে আরও দুই ঠিকাদার বাপি ঘোষ এবং সমীরণ ঘোষ জানান, আরটিআর প্রত্যাহার করার জন্য তাঁরা প্রেমনাথে বাড়িতে অনুরোধ জানাতে গেলে তাঁদের কাছে প্রেমনাথ কুড়ি হাজার টাকা দাবি করেন। ঠিকাদার জ্যোতি আরো জানান, প্রেমনাথ ঘোষাল ঠিকাদার ছাড়াও রেশন ডিলার, ইটভাটা মালিক, বালি খাদান মালিক সবার কাছ থেকে তোলা আদায় করেন। অন্যদিকে প্রেমনাথ পাল্টা জানিয়েছেন, জ্যোতি সিপিএম পার্টির হয়ে কাজ করত আগে। এখন তৃণমূলের তাঁবেদারী করে সে ঠিকাদারের কাজ পেয়েছে।

প্রেমনাথ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের জন্য তিনি আদালতে যেতে চলেছেন। এই ঘটনায় জামালপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ পাল জানিয়েছেন, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ তদন্ত করে যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার করবে। তবে দলের কেউ যদি এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে দল তাঁর পাশে থাকবে না। অন্যদিকে বিজেপির জামালপুর বিধানসভার আহ্বায়ক জিতেন ডকাল জানান, কাটমানি, তোলা আদায়কারীরা এই তৃণমূল দলে রয়েছে। ঠিকাদাররা যে অভিযোগ তুলেছে তা 100% সত্যি। বরাবরই তৃণমূলের নেতারা কাটমানি আদায় করে নিজেদের আর্থিক সম্পদ বাড়িয়েছেন, আর তা গোটা রাজ্যের মানুষ জানেন।

অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জেলা তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের দাবী, দুর্নীতি নিয়ে প্রায়শই যেভাবে শাসক দলকে অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ  একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। অন্যদিকে শাসকদলের দুর্নীতি আটকাতে বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ থেকে শুদ্ধিকরণ নীতি চালু হয়েছিল। কিন্তু তাতেও যে সব জায়গায় কাজ হয়েছে সে দাবি করা যাচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানে তোলা আদায় নিয়ে যেভাবে তৃণমূল নেতার প্রতি অভিযোগ উঠে এসেছে, তা যথেষ্ট অস্বস্তিজনক। আপাতত পুলিশের হাতে তদন্তভার। এবং সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কি ফলাফল আসে, সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!