ফের একবার মমতাকে অভিষেক ভাইপো নিয়ে খোঁচা অমিত শাহের, করলেন তির্যক মন্তব্য! কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। খুব স্বাভাবিকভাবেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ বাংলায় এসে বঙ্গ বিজেপি শিবিরের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। অমিত শাহের বঙ্গে আগমন নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলার আগমন যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আজ অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন বাংলায়। স্বাভাবিকভাবেই এই সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শাসক দলকে একের পর এক কটাক্ষে বিঁধেছেন। পাশাপাশি রাজ্য যুব তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি বাদ দেননি তির্যক মন্তব্য থেকে। অমিত শাহ এদিন মন্তব্য করেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে তিন ধরনের শাসন চলছে। তাঁর ভাইপোর জন্য এক রকমের শাসন, ভোটব্যাঙ্ক দখলের জন্য এক রকমের শাসন এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক রকমের শাসন। এদিন অমিত শাহ স্পষ্ট জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কাছে খারাপ প্রশাসনের নতুন সংজ্ঞা হাজির করেছে। পাশাপাশি অমিত শাহ বাংলার রাজনীতিতে যে ক্রমাগত অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছিল, বাংলার প্রশাসন শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে। সে কথাই উঠে এল এবার অমিত শাহের গলায়। অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়েও এদিন একের পর এক প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক অবক্ষয়ের নতুন ধারার সূচনা হয়েছে। দুর্নীতি যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, সে কথাও বলতে ছাড়েননি তিনি। পাশাপাশি অমিত শাহ রাজ্য প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এবং তিনি এও বলেন, যেকোন রাজ্যের সরকার পতনের জন্য এই তিনটি জিনিসের একটি থাকলেই যথেষ্ট। অমিত শাহ এদিন জানান, বাংলার মানুষের মনে যে প্রত্যাশা ছিল তা মেটাতে পারেনি তৃণমূল সরকার। তাই তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। অন্যদিকে অমিত শাহ জানান, তিনি যেখানে গেছেন সেখানেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখেছেন গত দুদিনে। এবং তা দেখেই তিনি আন্দাজ করতে পারছেন, বাংলায় মোদি সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা। সব মিলিয়ে দুদিনের বাংলা সফরে অমিত শাহ কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজিয়ে গেলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এসে যেভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদল তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লাগলেন, তা কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আপাতত দেখার, তৃণমূল শিবির অমিত শাহের কটাক্ষ সামলে পাল্টা কি জবাব দেয়! আপনার মতামত জানান -