এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনে নিন

ফের কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে পরিস্হিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। এই লকডাউন এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের রুজি রোজগারে পরে টান। এই অবস্থায় দেশের আর্থিক পরিস্থিতিও পৌঁছে যায় প্রায় খাদের ধারে। এই চরম আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশের অর্থনীতিকে আবার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একের পর এক সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন তিনি। এই অবস্থায় দেশের অর্থমন্ত্রীর অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল, কয়লাখনির বেসরকারিকরণ।

দেশের অর্থমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি দিয়েছিলেন, দেশের কয়লা খনিগুলি যদি বেসরকারিকরণ হয়, তাহলে অবশ্যই বিদেশি বিনিয়োগ আসতে থাকবে দেশে। যা এইমুহুর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অর্থমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। এবং যথারীতি কয়লাখনির নিলামের উদ্বোধন করেন। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি বহুবার তাঁর আপত্তি জানিয়েছেন এই বেসরকারিকরণের।

সম্প্রতি তিনি আবার কেন্দ্রের এই নীতির বিরুদ্ধে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি সবিস্তারে তাঁর আপত্তির কারণ বর্ণনা করেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারতবর্ষে কয়লাখনি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অর্থনীতিতে একটা বড় ভূমিকা নেয়। তাই এহেন প্রাকৃতিক সম্পদকে যদি বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই ভারতের অর্থনীতি জোরদার ধাক্কা খাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উপরন্তু প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যে ভাবনা জানিয়েছিলেন দেশবাসীকে, অর্থাৎ ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার জন্য, সেই ভাবনারও বিরোধীতা করা হবে বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই তিনি এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন তার লেখনীর মাধ্যমে, বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। কয়লা খনির বেসরকারীকরণ করা নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক মহলে। এতদিন ধরে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে টালবাহানা চললেও গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে 41 টি কয়লাখনির নিলাম প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপরেই কয়লাখনির বেসরকারিকরণ নিয়ে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থা যদি বেসরকারি হতে চলে যায়, তাহলে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষ আর আগের মতন সুযোগ-সুবিধা পাবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি 1973 সালে কয়লা খনিগুলিকে জাতীয়করণ করার পেছনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বলে জানা গেছে। উপরন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে 100 শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ কোন মতেই সম্ভব নয়।এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়লাখনির বেসরকারিকরণের আপত্তি জানানোর সাথে সাথে কলকাতা থেকে কোল ইন্ডিয়ার সদর দপ্তর সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করেছে তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন বলে খবর।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়লাখনির বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্যই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনাই কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জাতীয়করণ থেকে বেসরকারিকরণের পথে চলতে গেলে কিছু সুবিধার সাথে কিছু অসুবিধাও আসতে পারে বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। সে ক্ষেত্রে এবার দেখার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আবেদনপত্রের উপর কতটা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার! আপাতত রাজনৈতিক মহলের অলিন্দে কয়লাখনির বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বন্দ কোন দিকে গড়ায়, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!