ফের খবরের শিরোনামে মোহন শর্মা, দলীয় নেতৃত্বকে কথা করে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো প্রবল আকার ধারণ করছে। লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গ তৃণমূল নেতৃত্বের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রী বিধানসভার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের নেতৃত্ব ফিরে পেতে প্রবল আগ্রহী। কিন্তু বাধ সেধেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য রেখেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা। রবিবার আলিপুরদুয়ার মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাসে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মোহন শর্মা নাম না করে ঋতব্রতকে আক্রমণ করেন বলে জানা গেছে। এদিন মোহন শর্মা বলেন, ঋতব্রত জেলায় এসে বারবার লোকসভা ভোটের হারের দায় জেলা নেতৃত্বের উপর চাপাচ্ছেন। সে কথার প্রতিবাদে মোহন শর্মা জানিয়েছেন, এবার থেকে ব্লকে ব্লকে ঋতব্রতর কথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেন মোহন শর্মা। এদিন তিনি জানান, দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর নেতৃত্বে দল চলবে। অন্যদিকে মৃদুল গোস্বামী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করা জেলা সভাপতি। মোহন শর্মা যখন মঞ্চের ওপর থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করছিলেন, ঠিক তখনই মঞ্চের নিচ থেকে তাঁর অনুগামী এবং তৃণমূল সমর্থকরা চিৎকার করে বলতে থাকেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবার থেকে যেখানে যাবেন, তাঁকে সেখানেই কালো পতাকা দেখানো হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তিনি যা কিছু করেন বা করেছেন তা দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই করছেন। আলিপুরদুয়ারের পড়ে থেকে দলের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের এর পক্ষ থেকে। তবে ঋতব্রত এদিন মোহন শর্মার উদ্দেশ্যে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেননি বলে জানা গেছে। একইভাবে দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, মোহন শর্মা কি বলেছেন তা তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি মোহন শর্মার সঙ্গেই কথা বলবেন। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন সংবাদ শিরোনামে। দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ জটিল হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে মোহন শর্মার ভূমিকা অগ্রগণ্য বলেই মানছেন কেউ কেউ। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং আসরে নেমেছেন। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি হওয়ার বিশেষ কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা এখনো পর্যন্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে কিন্তু আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে একথা স্পষ্ট, জলপাইগুড়ির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বও কিন্তু চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে। আপনার মতামত জানান -