এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের সংবাদ শিরোনামে যোগী রাজ্য, ভাঙা হল ১০০ বছরের পুরনো মসজিদ

ফের সংবাদ শিরোনামে যোগী রাজ্য, ভাঙা হল ১০০ বছরের পুরনো মসজিদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাবরি মসজিদের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? যে মসজিদ ভেঙ্গে তার ওপর তৈরি হচ্ছে রামমন্দির এবং ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশে। আরও একবার মসজিদ ভাঙার কারণে সংবাদ শিরোণামে উঠে এল উত্তরপ্রদেশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যোগী সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মেম্বাররা। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলায় একটি 100 বছরের পুরনো মসজিদ ছিল। সেই মসজিদ সম্প্রতি ভেঙে ফেলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। প্রশাসনের দাবি, জমি জবরদখল করে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। তাই সেই মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত।

অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, 100 বছরের পুরনো মসজিদ যেভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাঁরা বারাবাঙ্কি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবে। মসজিদের পরিচালন কমিটি ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরেই এই মসজিদটি ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিলেন। মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান সাবীর আলী জানিয়েছেন, এক রাতের মধ্যে যেভাবে 100 বছরের পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলা হলো, তার জন্য একমাত্র দায়ী স্থানীয় প্রশাসন। একই সাথে তিনি আরো অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত সরিয়ে ফেলা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নিশ্চিত করেছে যে মসজিদ তাঁদের কাছে নিবন্ধীকরণ ছিল তা ভেঙে দেওয়ার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে কিন্তু কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন এবং এই মসজিদটি পুনরায় যাতে তৈরি করা হয় সে ব্যাপারে আবেদন জানাবেন। এই অবৈধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় মুসলিমরা। সূত্রের খবর, মার্চ মাসেই মসজিদ রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দেখানোর জন্য মসজিদ কমিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশের জবাব বেশ কিছু সময় পরে দিয়েছিল মসজিদ কমিটি।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল তাঁদের। যখন ভাঙচুর হয়, মসজিদে তখন প্রার্থনা বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং কেউ যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য চতুর্দিকে ব্যারিকেড করে রাখা হয় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যোগী সরকারের সমালোচনায় মেতে উঠেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি আইনী জটিলতার কারণে মসজিদ ভাঙ্গা পরলো নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তারই অনুসন্ধান চলছে জোরকদমে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!