এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফিরে আসছে পুরোনো আতংক, করোনা রুখতে কি এবার লকডাউন হাতিয়ার প্রয়োগ?

ফিরে আসছে পুরোনো আতংক, করোনা রুখতে কি এবার লকডাউন হাতিয়ার প্রয়োগ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই মুহূর্তে করোনার করাল গ্রাসে সারাদেশ। দিশেহারা হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে কি এবার লকডাউন ডাকা হবে? এই প্রশ্ন সবার মনে। গত বছরেও করোনার বাড়াবাড়ি পরিস্থিতিতে লকডাউন ডাকা হয়েছিল এবং তার ফল যে কতটা মারাত্মক হয়েছিল তা দেখে নিয়েছে দেশবাসী। তাই এবারও পুরনো আতংক ফিরে এসেছে দেশজুড়ে। সংক্রামিতর সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে। একই সাথে মৃত্যু মিছিল থামছেনা। আর তাই দেশের একাধিক জেলায় এবার লকডাউন এর অপশনই একমাত্র অস্ত্র বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি দ্রুত সংক্রামিত জেলাগুলিতে লকডাউন করে করোনার চেন ভাঙা না যায়, তাহলে কিন্তু আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়ে উঠবে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যে দেড়শটি জেলায় 15 শতাংশের বেশি পজিটিভ কেস রয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবাকে বাদ দিয়ে লকডাউন করে দেওয়া হোক। না হলে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত, তাতে কিন্তু এবার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়বে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে।

সেখানে রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে নিজেদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে কেন্দ্রীয় সরকার নেবে, তা বলাইবাহুল্য। কেন্দ্রের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে পজিটিভ কেসের সংখ্যা কমানো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সংক্রমণ কমাতে গেলে লকডাউন ছাড়া যে গতি নেই সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্র। সংবাদসূত্রের খবর, যেসব জেলায় সবথেকে বেশি পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে সেখানে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য শক্তভাবে লকডাউন করতে হবে, যাতে সংক্রমণ আটকানো যায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা বেশকিছু রাজ্যের করোনার  অতিমারির প্রভাবে অত্যন্ত চিন্তিত। যেভাবে ঝড়ের গতিতে মানুষ করোনা পজিটিভ হচ্ছে, তা কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনাবশ্যক ক্ষেত্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করার। দেশজুড়ে লাগাতার এক সপ্তাহ 3 লক্ষের অধিক মানুষ প্রায় প্রতিদিন সংক্রামিত হচ্ছেন। ওয়ার্ল্ড মিটার অনুযায়ী দেশে মঙ্গলবার 3 লক্ষ 62 হাজার 902 টি অ্যাকটিভ সংক্রমণের কেস পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে 3285 জনের। সোমবার দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 28.8 লক্ষ। যে আটটি রাজ্যে করোনা অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়েছে, সেগুলি হল- মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, রাজস্থান, গুজরাট, ছত্রিশগড়, তামিলনাড়ু। এই রাজ্যগুলিতে সারা দেশের মোট সংক্রামিতর প্রায় 69% রয়েছে।

এই প্রতিটি রাজ্যে এক লক্ষের বেশি অ্যাকটিভ কেস রয়েছে বর্তমানে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে করোনা নিত্যদিন রেকর্ড গড়ে মহামারীর আকার ধারণ করছে। অবিলম্বে মৃত্যু-মিছিল আটকাতে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাব মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলাই যায়, স্বাস্থ্য পরিষেবা উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে গত কয়েকদিনে। এই অবস্থায় এবার কেন্দ্রীয় সরকার সংক্রমণ রুখতে কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সে দিকেই নজর রয়েছে সারাদেশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!