এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফোনে আড়িপাতা নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি এবার বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতারাও, তীব্র জল্পনা সর্বত্র

ফোনে আড়িপাতা নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি এবার বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতারাও, তীব্র জল্পনা সর্বত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, একটি ইজরায়েলী স্পাইওয়্যার হল পেগাসাস। আর এই পেগাসাসের মাধ্যমে গ্লোবাল সার্ভাইলেন্স হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। সেখানেও একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, বিচারকসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আর এই নিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে। অন্যদিকে এই পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে পাল্টা তৃণমূলকে দিয়েছে বিজেপি। জাতীয় রাজনীতি ছাড়িয়ে পেগাসাস কান্ড রাজ্য রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে।

গতকাল একুশে জুলাই শহীদ দিবস পালন করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই। গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে দিল্লির রাজঘাটে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংসদদের নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারানোদের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে। কার্যত দিল্লি এবং কলকাতা দুই জায়গা থেকেই দুই বিজেপি শীর্ষ নেতা রীতিমতো বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। প্রসংগত, গতকাল যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে মোদি সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন ফোনে আড়িপাতা প্রসঙ্গে, ঠিক সে সময় রাজ্য সরকারের দিকে পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি জানালেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের আঙুল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি শুভেন্দু জানান, শুধু তার ফোনই নয়, বিজেপির ছোট বড় নেতাদের ফোনেও ট্যাপ করছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে দিল্লির রাজঘাট থেকে বড় বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপের অভিযোগ করে সাক্ষী করে দিলেন বর্তমান তৃণমূল নেতা মুকুল রায়কে। কার্যত গতকাল বিজেপির তরফ থেকে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ নামক একটি কর্মসূচি পালন করা হয়। আর এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করে গেছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কিছুদিন আগেই শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তমলুকের নিমতৌড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কোথায় কোথায় ফোন যাচ্ছে তা তিনি সবটাই জানেন। তাঁর কাছে কল রেকর্ড আছে। আর সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 21 এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নাম না করে তাঁকে গদ্দার বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি শুভেন্দু যেভাবে ফোন ট্যাপিংয়ের কথা বলেছেন, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী এদিন কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়।

এই নিয়ে মুকুল রায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন বলে জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, ফোন ট্যাপিংয়ের সংস্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেসের, বিজেপির নয়। এক্ষেত্রে মোদী সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কার্যত বাদল অধিবেশনের শুরুতেই পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে বিরোধীরা। তবে পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো প্রমাণ নেই। ভারত সরকারের বদনাম করার চেষ্টা চলছে বলে সংসদে বলা হয়। সবমিলিয়ে ফোনে আড়িপাতা প্রসঙ্গ এই মুহূর্তে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত পেগাসাস বিতর্ক যে আরও বহু দূর এগোবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!