এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জ্যোতিষ, বৈদিক শাস্ত্র থেকে শারীরিক উপকারিতা! বেলপাতার গুণাবলী জানলে চমকে যাবেন!

জ্যোতিষ, বৈদিক শাস্ত্র থেকে শারীরিক উপকারিতা! বেলপাতার গুণাবলী জানলে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অতীতের পাতা ওল্টাতে দেখা যায়, প্রকৃতি বা উদ্ভিদের পূজার সূচনা হয় বৈদিক যুগের সময়। চারদিকে যখন ছিল জনমানবহীন ধূ ধূ প্রান্তর, আর তার মাঝখানে একদল যাযাবর মানুষ নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্বেষণে, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় দৃঢ়চেতা। সেই সময় চারিপাশে কিছুই ছিল না জানা।

সূর্য কি, প্রকৃতি কি, বৃষ্টিপাত কি, প্রকৃতির এই নানা চ্যালেঞ্জ জেতা তাদের কাছে প্রতিদিন ছিল নতুন লড়াই। মানুষ যাকে ভয় করে, তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে। আর সেই থেকেই প্রকৃতিকে তুষ্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরু হয় একদল মানুষের প্রকৃতি উপাসনা। বহু পরবর্তীকালে যা ব্রাহ্মণ্য ধর্মের যুগে পরিণত হয় মূর্তিপূজায়।

 

তবে মূর্তিপূজা ছাড়াও কিছু কিছু গাছ পূজা করার এই যে প্রবণতা সেটা কিন্তু বৈদিক যুগ থেকেই চলে আসছে। সেখানে বেল গাছ, তুলসী গাছ, নারকেল গাছ, অশ্বত্থ গাছ এমন বহু প্রকৃতির উপাদানকে মানুষ পুজো করে আসছে। তবে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে গেলে তার অনেক কারণ বলা যেতে পারে।

যাযাবর মানুষ সেই সময় অসহায়তার মধ্যে দিয়ে চলছিল। প্রকৃতিতে সমাজের উন্নতি ঘটে নি। ফলে প্রকৃতির মধ্যেই সে খুঁজে নিত তার বাঁচার রসদ। তাই প্রকৃতির যে উপাদান তাদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি কাজে আসতো সেই উপাদানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে পুজো করা হতো। যাতে সেই উপাদানটিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করে দেখা গেছে সেই সমস্ত উদ্ভিদ বা গাছের আছে হাজারো গুণ, যেগুলো কিনা মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে তাদের শারীরিক উন্নতির ক্ষেত্রে অনেকভাবে কাজে লাগে। শুধু তাই নয় তাদের পরিবেশেরও অনেক উপকারে আসে। এমন অবস্থায় জ্যোতিষ শাস্ত্রে বেল গাছ সম্পর্কে উঠে আসে নানা পৌরাণিক তত্ত্ব।

হিন্দু শাস্ত্র মতে যারা বাড়িতে পুজো করেন তাঁদের কাছে বেল গাছের গুরুত্ব কতখানি তা বলে দিতে হয় না। হিন্দু পূজা বেল পাতার ছাড়া যে সম্পন্ন হয় না পূজাতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটা মানুষের কাছেই এটা শোনা কথা। তবে শুধু বেল পাতাই নয়, বেল গাছের ডাল, বেল ফল সবকিছুরই হিন্দু শাস্ত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

 

বেল গাছ কে বলা হয় সত্ত রজ এবং তম এই তিন গুণের অধিকারী। এছাড়া বেলপাতার তিনটি পাতা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এর প্রতীক, যা কিনা সৃষ্টি স্থিতি লয়কে বোঝায়। তবে শুধু পুরাণ নয়, বৈজ্ঞানিক মতে শরীর ভালো রাখতে এর কি কি গুণ আছে, আসুন দেখে নিই —

১) বেল গাছের গুঁড়ো কাটা জায়গায় লাগলে ক্ষত সেরে যায়। তাই বেল গাছ কে অ্যান্টিসেপটিক বলে মনে করা হয়।
২) বেল ফলের গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অ্যানিমিয়া রোগ থেকে উপশম মেলে। এছাড়া হাই ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রেও বেল ফল উপকারী।

 

৩) গরমকালে বেল ফল খেলে পেট ঠান্ডা করে। এছাড়া বেল ফলের আঠা লিভারের পক্ষে ভাল বলে, লিভারের সমস্যায় বেল খেলে লিভারের সমস্যায় কাজে আসতে পারে মনে করেন অনেকে।
৪) বেল ফল খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে বলেও ধারণা করা হয়। এছাড়া বেলের রস করে সরষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখলে ও উপকার পাওয়া যায় বলে অনেকেই মনে করে থাকেন।
তাহলে আপনিও দেরি না করে উপকার নিন বেল ফলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!