এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ‘পিসি-ভাইপোর’ ২০ টাকায় মদের কারখানা নিয়ে ফের রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিলেন সৌমিত্র খাঁ

‘পিসি-ভাইপোর’ ২০ টাকায় মদের কারখানা নিয়ে ফের রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিলেন সৌমিত্র খাঁ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আবহে একের পর এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি নদীয়া জেলার গয়েশপুরে বিজেপি কর্মী বিজয় শীলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। গত শনিবার রাতে বিজেপি কর্মী বিজয় শীল বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন, তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এরপর গত রবিবার সকাল বেলায় তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি অভিযুক্ত করেছে শাসকদল তৃণমূলকে। বিজেপি কর্মীর এই মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। কল্যাণীতে চলে ১২ ঘন্টার বন্‌ধ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেন বহু বিজেপি নেতা। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ শাসকদল তৃণমূলকে চরম আক্রমণ করলেন।

গতকাল সোমবার বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচির কারণে তোলপাড় হল সারা রাজ্য। গতকাল থানা ঘেরাও কর্মসূচির পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বললেন, “ বাংলায় কুড়ি টাকার পাউচ মদের কারখানা তৈরি করছে পিসি-ভাইপো। আর ওই মদ খাইয়েই একটি বিশেষ কায়দায় একের পর এক খুন করা হচ্ছে বিজেপি কর্মী-সমর্থককে। এখানেই শেষ নয়।” এরপর, রাজ্যের শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন যে, এরকম খুনোখুনি যদি বন্ধ না হয়, তবে শুধু নদীয়া জেলাই নয়, সারা বাংলা জুড়ে বন্‌ধের ডাক দেবে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গয়েশপুরের অধিবাসী বিজয় শীল ছিলেন এলাকার একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ৩৮ বছর বয়স্ক এই বিজেপি কর্মী রান্নার গ্যাস সরবরাহের পেশায় যুক্ত ছিলেন। গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরোনো তিনি। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। গত রবিবার সকাল বেলা তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গয়েশপুর শ্মশানের কাছে এক আমবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আমবাগানে থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর মৃতদেহ। তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, বেশকিছু মানুষ তাঁকে বারবার হত্যার হুমকি দিয়েছিল। তবে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ ছিল কিনা? তা তাঁর পরিবারের লোকজনেরা স্পষ্টভাবে জানাননি।

বিজেপি কর্মী বিজয় শীলের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হলো রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব দায়ী করেছে তৃণমূলকে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলই খুন করেছে তাঁকে। যদিও বিজেপির উত্থাপিত অভিযোগ মেনে নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা মুকুল রায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ঘটনায় তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে দৃষ্টিপাতের আবেদন জানালেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রতি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। প্রসঙ্গত আগামী বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে চলেছে। যতই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মারামারি, হানাহানি, খুনোখুনি, বোম বাজি ক্রমশই বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!