এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ‘পিসি-ভাইপো’ তাঁদের ‘চামচা’ পুলিশ’ এবার নাম না করে মমতা অভিষেককে কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সংসদের

‘পিসি-ভাইপো’ তাঁদের ‘চামচা’ পুলিশ’ এবার নাম না করে মমতা অভিষেককে কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সংসদের

তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার চড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সাম্প্রতিককালে নানান বিতর্কে রাজ্যের শাসক দলের নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল উত্তাল হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসনভার তৃণমূল পেলেও বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে তাঁরা বিজেপির কাছে। আর তারপর থেকেই রাজ্যের শাসক দল ক্রমাগত কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপির আক্রমণে। এবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন।

সোমবার বাঁকুড়ার ওন্দার রামসাগরে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রার’ সূচনা করে শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। তিনি পরিষ্কার করে বললেন, এরাজ্যে গণতন্ত্র নেই। সামাজিক মাধ্যমে বললেও পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে একমাত্র বিজেপিই পারে।

তিনি আরো বলেন, রাজ্যের অগণতান্ত্রিক পরিবেশ, অহিংসার মদতদাতা ‘পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে বিজেপির এই সংকল্প যাত্রা’। দুই হাজার কুড়ি সালে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখি এই তিন পুরসভার ভোট সংক্রান্ত ব্যাপারে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এই তিন পুরসভায় বিজেপি বিরোধীরা কোনভাবেই দাঁড়াতে পারবে না। আর সেই কারণেই এবার পুলিশ দিয়ে এই পুরসভাগুলি শাসক সরকার জিততে চাইছে।

এদিন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে গান্ধী সংকল্প যাত্রা রামসাগরে শুরু হয়ে ওন্দা, কালীসেন, রতনপুরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এই কর্মসূচিতে বিজেপি সাংসদ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ, বিজেপি নেতা অমর শাখা প্রমুখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, শাসক শিবির থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বিজেপির সংকল্প যাত্রাকে ‘শবযাত্রা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, লোকসভায় মানুষ ভুল করেছেন। তবে আগামী পুরভোট বা বিধানসভা ভোটে মানুষ এই ভুল আর দ্বিতীয়বার করবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর শক্তি কারোর নেই। তৃণমূলের তরফ থেকে যেভাবে জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে, তাতে তৃণমূলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন তিনি।

আপাতত পশ্চিমবঙ্গের সামনে পরপর পৌরসভা নির্বাচন, বিধানসভা উপনির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে মাথায় রেখে ক্রমশ রাজনৈতিক তরজা জমে উঠবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে আপাতত প্রতিটি দলই নিজেদের ভোট ময়দানের জমি তৈরি করতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!