এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নয়া কমিটিতে ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন পুরোনো নেতারা, পিকের সিদ্ধান্তে দলের অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ

নয়া কমিটিতে ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন পুরোনো নেতারা, পিকের সিদ্ধান্তে দলের অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। একুশের ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর কন্ঠে শোনা গিয়েছিল এজন্য আফসোস। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর নিজের দলের কর্মীদেরই দলের কর্মসূচিতে গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

তবে এর পেছনে বস্তুত পিকের নির্বাচনী প্রচারের সিদ্ধান্তকেই কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই দলের নির্বাচনী প্রচারে থাকতে দেখা যাচ্ছে না দলের একাধিক নেতা কর্মীদের। সেইসঙ্গে জানা গেছে, মাইশোরার বলরামপুর এলাকায় এদিন পিকের টিমের লোকজন এলাকায় দলের প্রচার কর্মসূচি চালায়। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে মাইশোরার সক্রিয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি বলেই জানা গেছে।

আর এর কারণ স্বরূপ মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও ব্লক কমিটির নতুন তালিকার কোনও পদেই নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র কোনও অনুগামীর না থাকা। বস্তুত,নির্বাচনের পদ বিন্যাসে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে এভাবেই মাইশোরায় তৃণমূল গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এর কারণ স্বরূপ দলের পক্ষ থেকে কোনো যথোপযুক্ত কারণ বলা হয়নি, তবুও এর পিছনে আসল কারণ কোথায়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, গত বছর অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজোর নবমীর রাতে মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুরবান শা। এক পর তাঁর দাদা আফজল শা’কে দলের তরফে মাইশোরা অঞ্চলে তৃণমূলের কোর কমিটির প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদটি এখনও ফাঁকা আছে বলেই জানা গেছে।

বস্তুত, তৃণমূলের নতুন জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন হওয়ার আগে আফজলকে দলের কোনও একটি পদে বসানো নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে কুরবানের ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে যুব তৃণমূলের পদেও বসানো হতে পারে বলেও গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু অন্যদিকে এতদিনেও তৃণমূলের নতুন কমিটিতে কেন কোথাও কুরবানের দাদা বা কুরবান অনুগামীকে স্থান দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

অন্যদিকে, নিহত কুরবানের একেবারে বিপক্ষের নেতা হিসেবে পরিচিত মাইশোরার বাসিন্দা সুজিত রায়কে পাঁশকুড়ায় যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে বসানো নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। আর সেটা নিয়েই কুরবানের অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। অন্যদিক এই প্রসঙ্গে মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতির কথায়, কুরবান পাঁশকুড়াতে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে, দল করতে গিয়েই তাঁকে খুন হতে হয় বলেও মেনে নেন তিনি। অথচ দলের নতুন কমিটিতে তাঁর দাদা বা কোনও অনুগামীকে রাখা হয়নি। আর তাতেই এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে কুরবানের দাদা আফজল এই বিষয়ে বলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। তাই কর্মসূচিতে কেন কেউ যায়নি, সেটা তিনি বলতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!