এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের মহাযুদ্ধে তৃণমূলের বিরাট জয়ে মহাপরিকল্পনা পিকের! প্রতি বুথে লিড নিতে স্পেশ্যাল টাস্ক!

একুশের মহাযুদ্ধে তৃণমূলের বিরাট জয়ে মহাপরিকল্পনা পিকের! প্রতি বুথে লিড নিতে স্পেশ্যাল টাস্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। দিনকে দিন বিজেপি তাদের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বুথের সংগঠনের ওপর সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সামনে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি বুথে লিভ নেওয়ার জন্য ফের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের জনসংযোগের রাস্তায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রশান্ত কিশোর।

যেখানে বুথের তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই বুথের সংগঠন যদি শক্তিশালী না থাকে, তাহলে সেই দলের পক্ষে সাফল্য পাওয়া অত্যন্ত সমস্যার। তাই সেই দিকটি বজায় রেখেই নির্বাচনের আগে এবার বুথের জনসংযোগে সবথেকে বেশি জোর দিতে দেখা যাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী সম্মেলন থেকে বুথে কিভাবে জনসংযোগ করা হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে প্রতি বুথের কর্মী তার নিজের এলাকার দশটি বাড়িতে যাবেন। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন। প্রয়োজনে তা লিপিবদ্ধ করে নেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কি বলতে হবে, তাও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নানা ধরনের কথা তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাংকে ধাক্কা দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “শুধু কর্মী সম্মেলন করলেই হবে না। কর্মী সম্মেলন করে পুরনো কর্মীদের দলে ফেরাতে হবে। এই দায়িত্ব বিধায়কদের নিতে হবে। বিধায়করাই নিজের নিজের এলাকার অভিমান করে দূরে চলে যাওয়া কর্মীদের ডেকে নেবেন কাছে। বার্তা দেবেন একসঙ্গে পথ চলার।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা ভালো ফলাফল না করার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করা হয়। আর তারপরেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তৃনমূল কংগ্রেস। যার প্রধান উদ্যোক্তা ছিল এই প্রশান্ত কিশোর।

বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে তৃণমূল কর্মীদের জনসংযোগের রাস্তায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। যার ফলে বিজেপিকে যেমন কুপোকাত করা সম্ভব হবে, ঠিক তেমনই এই জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সফলতা লাভ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে প্রশান্ত কিশোরের এই স্ট্র্যাটেজি কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!