এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের সংখ্যালঘু সংসারে মিম হাত বাড়ানোর আগেই বড়সড় পদক্ষেপ পিকের? নয়া সমীকরণ নিয়ে জল্পনা?

তৃণমূলের সংখ্যালঘু সংসারে মিম হাত বাড়ানোর আগেই বড়সড় পদক্ষেপ পিকের? নয়া সমীকরণ নিয়ে জল্পনা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জয়লাভ ও বেশকিছু আসনে ভোট কেটে মহাজোটকে বিপাকে ফেলার পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দ্রাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম বা সংক্ষেপে মিম। মিম শাসকদল তৃণমূলের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে মিমের মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল তৃণমূল। আবার, দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মিমকে হায়দ্রাবাদের উর্দুভাষী দল বলে কটাক্ষ করলেন।

প্রসঙ্গত, এবারে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের কাছে মিম ২০ টি আসন দাবি করেছিল। কিন্তু আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব তাঁদের দাবি না মেনে নেওয়ায়, মুসলিম প্রধান ২০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল মিম। যার মধ্যে পাঁচটি আসনে মিম জয়লাভ করে ও প্রায় ১৪ টি আসনে ভোট কেটে দিয়ে প্রচন্ড বিপাকে ফেলে মহাজোটকে। বেশকিছু আসনে অল্প ভোটের জন্য হেরে গিয়েছিল মহাজোট। আবার মাত্র কুড়িটি আসনে প্রার্থী দিয়ে মোট ভোটের ১.২৪ শতাংশ পেয়েছে মিম।

বিহারের এই সাফল্যের পর বাংলায় দখল নেওয়ার কথা জানালেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি স্পষ্ট করে জানালেন যে, তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। তিনি দাবি করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৬ টি জেলায় মিমের সংগঠন রয়েছে। এই জেলা গুলি হল উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া। এই জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে মুসলিম সংখ্যা যথেষ্ট। এই জেলা গুলির মুসলিম জনসংখ্যা যথাক্রমে ৬৬.২৮ শতাংশ, ৫১. ২৭ শতাংশ, ৪৯.৯২ শতাংশ, ৩৫.৫৭ শতাংশ।

এবার মিমের আক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অরগানাইজেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলো। অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে তৃণমূলের মাইনরিটি সেলকে একসাথে চলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর টুইটে। তৃণমূল দলের মাইনরিটি সেল অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশন বা এআইএমর সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করতে চলছে। এআইএম সাধারণভাবে সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের কার্যকরী সভাপতি নাসির আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন যে, সংখ্যালঘুদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যজুড়ে প্রচার চালানো হবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের কার্যকরী সভাপতি নাসির আহমেদ অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশনের সর্বভারতীয় সভাপতিও। তিনি জানালেন যে, তাঁদের প্রথম কাজই হবে, মুসলিম ভোটকে সংগঠিত, জোটবদ্ধ করা।

মুসলিম ভোটকে নিজের দিকে আটকে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস এভাবে নিজেদের সংখ্যালঘু সেলকে ব্যবহার করেছ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৯৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২০ টি আসনে কারা জয়ী হবে, তার নির্ণায়ক সংখ্যালঘুরা। ভোটকুশলী পিকের পরিকল্পনাতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ, সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হলে বিশাল বিপাকে পড়তে পারে শাসকদল তৃণমূল। এমনটাই অনেকের মতামত।

অন্যদিকে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, মুসলিম ভোট ভাগ করে দিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছে মিম। তাঁর দাবি, বাংলাতে কিছু করতে পারবে না মিম। মিমকে তিনি হায়দ্রাবাদের উর্দুতে কথা বলা মুসলিমদের দল কটাক্ষ করলেন।কারণ, বাংলার মুসলিমরা উর্দুতে কথা বলেন না। এভাবে একদিকে সংখ্যালঘুদের তৃণমূল দলের প্রতি আকৃষ্ট করা অন্যদিকে মিমকে আক্রমণ করার যৌথ সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। ভোটকুশলী পিকে আবার এলেন পরিত্রাতার ভূমিকায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!