ফের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরকে, তৃণমূলে কি ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন পিকে? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 22, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে বঙ্গে। আর এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সে আভাসও পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে এমন পরিস্থিতিতেই সামনে এসেছিল একাধিক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা। যেখানে নিজের দলের অন্দরেই ব্রাত্য হয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাদেরকে। সেই সঙ্গে পিকের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন কেউ কেউ। সেখানে কোন সংস্থাকে দিয়ে সংগঠন চালানোর মতো প্রস্তাবে সহমত হতে পারেননি অনেকেই। আর এমন পরিস্থিতিতে তাই নিজের দলের নির্বাচনী প্রচারে কাউকে যেখানে দাঁড়াতে দেখা যায়নি, সেখানে অনেকেই গাছাড়া ভাব দেখিয়েছেন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও দলের মধ্যে সদস্যদের দুটি দল ভাগ হয়ে গেছে বলেই জানা গিয়েছিল। সেখানে একদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করে দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথাই সামনে এসেছিল। আর সেখানে কিছুদিন আগে যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল সৌগত রায়কে, সেখানে নাকি নিজের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও পিকের প্রসঙ্গই তুলে ধরেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, পিকের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে যে দলের একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে, সেটা না মেটাতে পারলে আদপে দলেরই ক্ষতি হবে বলেই মনে করেছিলেন বিশ্লেষকেরা। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর এক ঘনিষ্ঠ নেতার মুখেও পিকের সম্পর্কে সমালোচনা শোনা গেছে বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা বুবাই করকে। যিনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবেও পরিচিত। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দাবি করেছেন, দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শুভেন্দু অধিকারীর কোনো বিকল্প নেই। ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে এই ব্যক্তিত্বদের প্রভাবে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের কাছে আসবে বলেই মনে করেছেন তিনি। অথচ বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা কেন এসে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাজের হিসেব চাইছেন সেটা নিয়েও তাঁর মনে সন্দেহ প্রকাশ পেয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে জানা গেছে, এতে নাকি দলের অনেক নেতা-কর্মীরা অসম্মানিত বোধ করছে। অন্যদিকে এটিকে তাঁর নিজের ব্যক্তিগত মতামত বলে জানালেও, প্রতিটি স্তরের তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যেই পিকেকে নিয়ে যে একটি ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তেমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতার এই ক্ষোভের বার্তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। আর সেই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে একটি নতুন বিষয়ে পরিণত হয়েছে এই ঘটনাটি। সেইসঙ্গে বিজেপি তৃণমূলের কাঠমানির প্রসঙ্গ সামনে এনে কটাক্ষ করেছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে আরো একবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -