এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিকের নির্দেশে ঘোর সমস্যায় তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা! বিজেপি ভাঙার ছক কি ‘বুমেরাং’ হবে?

পিকের নির্দেশে ঘোর সমস্যায় তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা! বিজেপি ভাঙার ছক কি ‘বুমেরাং’ হবে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের প্রধান লক্ষ্য, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাদের আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে আনা। অর্থাৎ এক কথায় বিজেপির ঘর ভাঙ্গা এখন তৃণমূলে রাজনৈতিক পরামর্শদাতার প্রধান টার্গেট বলে তৃণমূলের অন্দরমহল কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে ফোন করে বিজেপি নেতাদের যোগদান করার নির্দেশ দিতে শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরা।

আর বিজেপির ঘর ভেঙে দলের নেতাকর্মীদের যোগদান করানোর নির্দেশ পেয়ে এখন কিছুটা বিড়ম্বনায় তৃণমূলের নেতৃত্বরা। কেননা কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাদের মাঠে ময়দানে লড়াই করতে হয়েছে, এবার তাদেরই যদি আবার জামাই আদর করে দলে আনা হয়, তাহলে তাদের গুরুত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তৃনমূলের অনেকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের এই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অনেক তৃণমূল নেতাকেই হোঁচট খেতে হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবিরের মত বিজেপি নেতাকে আবার দলে ফিরিয়ে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সর্বত্রই যাতে এই প্রবণতা বজায় থাকে, তার জন্য প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এইরকম ভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনে দল অনেকটাই অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। তাদের বক্তব্য, যাদের বিরুদ্ধে এতদিন লড়াই করা হল, তাদেরকে যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার দলে নিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে লড়াই করা নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়তে পারে। যার প্রভাব পড়বে বিধানসভা নির্বাচনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাস্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “প্রশান্ত কিশোরের ছেলেপেলেরা আমাদের ফোন করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। বিজেপি থেকে যোগদান করাতেই হবে। যদি আসতে না চায়, তাকেও জোর করে আমাদের দলে নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে। এই ধরনের রাজনীতি করতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে ভুল হয়েছে। যার ফল পেয়েছিলাম লোকসভায়। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। জোর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান হতে থাকলে, আখেরে আমাদেরই ক্ষতি হবে। প্রশান্ত কিশোরের লোকজন আমাদের বলছে, যোগদান পর্বের অনুষ্ঠান কবে তাদের জানাতে। তারা এসে অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে যাবেন। এভাবে চাপ দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি চাপ দিলে দলে থাকা কর্মীদের বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান বলে চালিয়ে দেবেন নিচুতলার নেতারা। এভাবে পয়েন্ট বাড়ানোর খেলা চলতে থাকলে নির্বাচনে আমাদের ফল ভুগতে হবে।”

অর্থাৎ নীচুতলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা প্রশান্ত কিশোরের এই ধরনের ফর্মুলাকে যে খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার। কেননা লোভে পাপ পাপে মৃত্যু হতে পারে। তাই বর্তমানে যদি বিজেপি ভাঙিয়ে নেতাকর্মীদের তৃণমূলে আনা সম্ভব হয়, তাহলে সেই সমস্ত নেতাকর্মীরা পরিস্থিতির চাপে তৃণমূলে আসলেও, তারা যে ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকেই দেবেন, এর কোনো গ্যারান্টি নেই।

তাই এইভাবে জোর করে দলবদলের জন্য প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হলেও, তাকে খুব একটা ভালো ভাবে গ্রহণ করছেন না তৃণমূলের নীচুতলার নেতৃত্বরা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে এখন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত অসন্তোষ তৈরি হতে শুরু করেছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!