এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের সাংগঠনিক বিন্যাস ঠিক করে দেবে টীম-পিকে! বায়োডাটা জমা নিয়ে জল্পনা শাসকদলের অন্দরে

দলের সাংগঠনিক বিন্যাস ঠিক করে দেবে টীম-পিকে! বায়োডাটা জমা নিয়ে জল্পনা শাসকদলের অন্দরে


লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের পরই দলকে নতুন করে তৈরি করতে তৃনমূল নেত্রী ভরসা রাখেন ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের ওপর। আর রননীতিকার হিসেবে তৃনমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঘাসফুল শিবিরকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন তিনি।

এতদিন তৃনমূলের জনপ্রতিনিধিদের দিদিকে বলো প্রকল্পের মাধ্যমে জনসংযোগে পাঠানো হয়েছে। তবে এবার ‘ইন্টারভিউ’ নিয়ে বুথস্তরে কর্মী বাছাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে এমনই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে তৃনমূলের জেলা সদর দফতর এবং বর্ধমান শহরের কালীবাজারের বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভার সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আর সেখানেই প্রতিটি বুথ থেকে তিন জনের বেশি নাম জেলা কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডুর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর সেখান থেকেই প্রশান্ত কিশোরের দল বুথ পিছু তিন জনকে বেছে নেবে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বায়োডেটা-সহ পাঁচ-সাত জনের নাম পিকে-র দফতরে পাঠাতে হবে। ওই সব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিন জনকে বেছে নেওয়া হবে। পিকে-র দলই ঠিক করে দেবে ওই তিন জনের মধ্যে কে সভাপতি হবেন, কে কো-অর্ডিনেটর হবেন।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এই পূর্ব বর্ধমান জেলায় 215 টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ছয়টি পুরসভা মিলিয়ে মোট 4750 টিরও বেশি বুথ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই জেলা থেকে মোট 27 হাজার নাম কলকাতায় পাঠাতে হবে। আর সেখান থেকেই সাড়ে ১৪ হাজার কর্মী বেছে নেবে প্রশান্ত কিশোরের দল।

তৃনমূলের একাংশের ধারনা, এক দিকে জনসংযোগ, অন্য দিকে বুথস্তরের সংগঠন ঢেলে সাজতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। আর তাই তো তিন জন শিক্ষিত সদস্যকে বেছে নিয়ে বুথ স্তরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আগামীদিনের নির্বাচনগুলিতে দল পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা নেবেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার এক নেতা বলেন, “1998 সালে দল গঠনের পরে, বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক কমিটি গঠন হয়েছিল। কার্যত সেটাই প্রথম এবং শেষ কমিটি। সংগঠন নিয়ে দলের তেমন ভাবনা ছিল না। রাজনৈতিক অবস্থা বদলাচ্ছে দেখে দলও সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত হতে শুরু করেছে।’’ কিন্তু এই বৈঠকে ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল!

সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্লক সভাপতিরা বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মী বেছে নেবেন। আর যেখানে দলীয় বিধায়ক নেই, যেমন জামালপুর ও পূর্বস্থলীতে দলীয় নেতারা এক সঙ্গে বসে বুথস্তরের কর্মী বাছাই করবেন। অনেকে বলছেন, অতীতে বিধানসভা ভিত্তিক চার জনের একটি দল গড়া হয়েছিল। এ বার বুথ স্তুরে কর্মী বাছাই শুরু হয়েছে। কে, কী কাজ করবেন তা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবেন পিকের দল।

অন্যদিকে এবার থেকে ব্লক সভাপতিরাও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে মাঠে নামবেন। বিধায়কদের মতো নিশিযাপন করে মানুষের অসুবিধার কথা শুনবেন তারা। আর সেই সব সমস্যা লিখিত ভাবে পিকের দলের কাছে পৌঁছেও দেবেন সেই ব্লক সভাপতিরা। কিন্তু কোথায় যেতে হবে, কারা সঙ্গে যাবেন তার নির্দেশ আসবে দলের তরফে।

সব মিলিয়ে একদিকে দিদিকে বলো প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ, আর অন্যদিকে ভবিষ্যতে নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বুথস্তরের সংগঠনের শক্ত টিম করতে চায় তৃণমূলের রননীতিকার প্রশান্ত কিশোর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!