এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টীম পিকের ২৪ ঘন্টার নজরদারিতে তৃণমূল নেতারা! পান থেকে চুন খসলেই প্রশ্নবানে জেরবার!

টীম পিকের ২৪ ঘন্টার নজরদারিতে তৃণমূল নেতারা! পান থেকে চুন খসলেই প্রশ্নবানে জেরবার!

লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের একটি আসনও না পাওয়া এবং সারা রাজ্যে 42 এ 42 এর স্লোগান তুলে বাইশটা আসন পাওয়া রাজ্যের শাসক দল বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল। তারপরই দলকে জনসংযোগে পাঠাতে সারা রাজ্যের প্রতিটা জেলায় “দিদিকে বলো” কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল।

কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিটা জেলার গুরুত্বপূর্ণ বাছাই করা নেতৃত্বদের সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের সুবিধা-অসুবিধা জানার নির্দেশ দিয়েছেন ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু সারা রাজ্যে যখন এই দিদিকে বলো কর্মসূচি চলছে, ঠিক তখনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দিদিকে বলো কর্মসূচিতে নেতাদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রেখেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম।

রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলার নেতাদের “দিদিকে বলো” যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে তাঁরা পালন করছেন কিনা, তার উপর পিকের টিম আলাদা নজর চালাচ্ছে। জানা গেছে, এই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দিদিকে বলো কর্মসূচিতে দেরি করে পৌঁছলে বা বাসিন্দাদের সমস্যা শুনে সমাধান না করলে পিকের টিম তৎক্ষণাৎ সেই নেতাকে ফোন করে জানতে চাইছে, এমনটা কেন হচ্ছে।

এদিকে পিকের টিমের কাছ থেকে সেই ফোন পেয়েই অবাক হয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরা কী করছেন আর কী করছেন না, তা কীভাবে প্রশান্ত কিশোরের টিম জানতে পারছে, তা নিয়ে হতবাক সকলেই।স্বাভাবিকভাবেই এই ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতারা এখন প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, “আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দিদিকে বলো কর্মসূচির যে দায়িত্বগুলি দেওয়া হয়েছে, তা আমরা সঠিকভাবে পালন করছি। কোথাও কোনও সমস্যার সমাধান না হলে পিকের টিমের সদস্যরা আমাদের ফোন করছেন।”

অন্যদিকে বালুরঘাট ব্লকে “দিদিকে বলো” কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কর্মসূচিতে আমাদের কিছু ভুল হলেই প্রশান্তবাবুর টিমের সদস্যরা ফোন করে জানতে চাইছেন কেন ভুল হল। তবে আমাদের যে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করছি।”

বস্তুত, এই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জোরকদমে দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রচার শুরু হয়েছে। বর্তমানে জেলা তৃণমূল যুব নেতাদের কাঁধেই এই ব্যাপারে বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কোন নেতাদের কার বাড়িতে যেতে হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। আর সেখানেই এলাকার সমস্যা শুনে সেগুলি সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রথমে তা সমাধান না হয়, তাহলে পঞ্চায়েত সদস্য, আর না হলে প্রধান, ব্লক ও শেষে বিধায়ক বা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর তাতেও যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সেই সমস্যার কথা চিঠি লিখে জানাতে বলা হয়েছে। আর রাজ্যের এই নির্দেশ পেয়েই এবার জেলায় দিদিকে বলো কর্মসূচির জোরকদমে প্রচার চলছে। তবে রাজ্যের তরফে যেসমস্ত নেতাদের দিদিকে বলো কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা কোনওভাবে নিজের দায়িত্ব পালন না করলে পিকের টিমের তরফে তৎক্ষণাৎ সেই নেতাকে ফোন করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

একাংশের অভিযোগ, কোনও এক নেতাকে এক বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে এলাকায় জনসংযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি সেই নেতা সেই স্থানে গিয়ে খাবার না খেয়ে চলে আসেন, তৎক্ষনাৎ সেই নেতাকে পিকের টিম ফোন করে জানতে চাইছে কেন তিনি খাবার খাননি।

ফলে রাজ্য নেতৃত্ব বা পিকের টিমের তরফে যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় “দিদিকে বলো” কর্মসূচির ব্যাপারে সবসময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোরই। আর তাই এখন এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে যাতে বিন্দুমাত্র খামতি না থাকে, তার জন্য সচেতন দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!