এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > পিকের সাথে বৈঠকের পরেই বড় বার্তা রাহুলের, জল্পনা চরমে!

পিকের সাথে বৈঠকের পরেই বড় বার্তা রাহুলের, জল্পনা চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যত দিন যাচ্ছে, ততই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে কংগ্রেস। তবে বিজেপি বিরোধিতায় তারা যদি কিছুটা হলেও সক্রিয় হতে শুরু করে, তাহলে গেরুয়া শিবির যে অনেকটাই চাপে পড়ে যাবে, তা বলাই যায়। কিন্তু সেভাবে কংগ্রেসের সংগঠন ঠিকমতো মাথা তুলে না দাঁড়ানোর কারনে অনেক রাজ্যেই আজ কংগ্রেস কার্যত অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা হলেও, সেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে তারা মোকাবিলা করতে পারছে না। সেদিক থেকে সাহসী মুখ দরকার বলেই দাবি করছেন একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বৃহত্তর মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে বিশিষ্ট নির্বাচনী রণকৌশলী বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে। আর প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পরেই বড় বার্তা দিতে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। যেখানে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা বলে সাহসী মুখ প্রয়োজন বলে বিবৃতি দিতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই হঠাৎ করে রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন একটি বার্তা দেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। যেখানে তিনি বলেন, “আমাদের দলে নির্ভীক লোকজন প্রয়োজন। যারা কংগ্রেসে থেকে লড়াই আন্দোলনে নামতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের আর কংগ্রেসে দরকার নেই। বরং যারা বিজেপি এবং আরএসএসকে ভয় পান না, তেমন মানুষদেরই আজ কংগ্রেস চায়।” আর রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়ার পরেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। এ কোন রাহুল গান্ধীকে দেখছেন, তা নিয়ে অনেকেই সংশয়মূলক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। কেননা অতীতে কংগ্রেসের ব্যাপক ভরাডুবি হওয়ার পরেও, সেভাবে রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে এরকম কোনো বিবৃতি দেখে দেখা যায়নি। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন কিছু একটা হয়েছে, যার কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে নামার কথা বলে আগামী দিনের নেতৃত্ব তুলে আনার বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোর এমন একজন রাজনৈতিক কৌশলী, যিনি কোন দলকে কিভাবে চাঙ্গা করতে হবে, তা খুব ভালোমতোই জানেন। সেদিক থেকে তার এখন যে প্রধান লক্ষ্য 2024 এ কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানো, তা বলাই যায়। আর সেই কারণে কিছুদিন আগেই সর্বভারতীয় দল হিসেবে পরিচিত বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস যাতে এখন থেকেই লড়াই আন্দোলনে নামে, সেই ব্যাপারে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি বলেই মনে করা হয়েছিল। আর প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই রাহুল গান্ধীর সংগঠনকে চাঙ্গা করার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, প্রশান্ত কিশোর খুব ভালো করেই উপলব্ধি করেছেন, দেশের অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মহাজোট গঠন করলেও, সেখানে যদি কংগ্রেস না থাকে, তাহলে বিজেপিকে আটকানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। কেননা কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল এই বৃহত্তর মহাজোটের প্রধান নেতৃত্ব দিতে পারেন। সেদিক থেকে তিনি ইতিমধ্যেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর তারপরেই রাহুল গান্ধীর এই ধরনের শুদ্ধিকরণের বার্তা যথেষ্ট গুঞ্জনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাংশ বলছেন, কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের সংগঠন ক্রমশ ধসের মুখে পড়ে গিয়েছে। সেদিক থেকে দলকে চাঙ্গা করতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেই অভিযোগ।

কিন্তু এবার অবশেষে নীরবতা ভেঙে যারা বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে, তাদেরকেই যে দল প্রাধান্য দেবে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। অর্থাৎ আগামী দিনে কট্টর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা নেতাকে সামনে এনে যে কংগ্রেস গেরুয়া শিবিরেরকে দমন করতে লড়াই শুরু হবে, তা রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের মধ্যে দিকেই পরিষ্কার। তবে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠকের পর রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে এই রকম মন্তব্য কেন, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!