এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অনেক সমস্যা, অনেক প্রশ্ন উড়িয়ে দিল্লিকে থেঁতলে-গুঁড়িয়ে মহাষ্টমীর সন্ধ্যেয় প্লে-অফের দিকে KKR

অনেক সমস্যা, অনেক প্রশ্ন উড়িয়ে দিল্লিকে থেঁতলে-গুঁড়িয়ে মহাষ্টমীর সন্ধ্যেয় প্লে-অফের দিকে KKR


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হার কর জিতনে বালোকো বাজিগার কেহেতে হে! যদিও কালকের আইপিএল কেকেআরদের কাছে শেষ জয় নয়, তবুও এদিনের জয়টা কেকেআরকে খেলায় টিকিয়ে রাখতে যে কতটা প্রয়োজন ছিল, সে কথা হাড়ে হাড়ে জানেন প্রতিটা কেকেআর ভক্তই। একদিকে দিল্লি তাদের ১৪ পয়েন্ট নিয়ে খেলার প্রথমে অবস্থান করছিল, অন্যদিকে পরপর খারাপ পারফরম্যান্স দিয়ে খেলা থেকে বাদ পড়তে চলেছিল কেকেআর।

এমন পরিস্থিতিতে কালকের জয় সেই হারের মধ্যে থেকেও তাদের খেলায় টিকে থাকার যে নতুন আশা ফিরিয়ে এনেছে, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয়না। মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় যেখানে সারা দেশের কেকেআর ভক্ত চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়, সেখানে দুবাইয়ে ব্যাট-বলে নতুন ইতিহাস লিখলেন সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী। যদিও দুজনেই স্পিন বোলার হিসেবে পরিচিত, তবুও নারিন মরুশহরে ৬৪ রানের ঝড় তুললেন ব্যাট করেই।

অন্যদিকে একাই ৫টি উইকেট নিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন বরুণ চক্রবর্তী। ফলত ৫৯ রানে ম্যাচ জিতে, প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কলকাতা। এদিন টস জিতে দিল্লি বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর শুরুতেই কেকেআরকে ব্যাট করতে আসে। যদিও কালকের শুরুটাও রাবাডা–নর্ৎজেরা দুরন্তভাবে করেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

এদিন দিল্লির ধাক্কায় শুরুতেই ফিরে যান শুভমন গিল, তাঁর ঝুলিতে তখন মাত্র ৯ রান। এরপরই একে একে রাহুল ত্রিপাঠি ১৩ রান করে এবং দীনেশ কার্তিক ৩‌ রান করে ফিরে যান। এরপরই খানিকটা ভেঙে পড়েন কেকেআর সমর্থকরা। বুঝি মনে হতে থাকে, শেষ রক্ষা বোধ হয় আর হলো না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ কার্তিককে নিয়ে কেকেআরের ৩ উইকেট যাওয়ার পর কেকেআরের রান ছিল মাত্র ৪২। তবে এরপরই ইনিংসের হাল ধরতে আসেন নীতীশ রানা এবং সুনীল নারিন। একদিকে যেখানে নারিন ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে শুরু করেন, সেখানে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন রানা। দু’‌জনের জুটিতে ৫৬ বলে ১১৫ রান যোগ হয় দলে।

তবে ৩২ বলে ৬৪ রান করে থেকে যায় নারিনের ব্যাট। তবে এরই মধ্যে মারেন ৬টি চার এবং চারটি ছয়। অন্যদিকে গোটা টুর্নামেন্টে রান না পেলেও এদিন নীতীশ দুরন্ত ৫৩ বলে করেন ৮১ রান। মূলত এই দু’‌জনের ব্যাটেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ছ’‌উইকেটে ১৯৪ রান তোলে কেকেআর। সেই সঙ্গে ১৯৫ রান তাড়া করার লক্ষ্যমাত্রা জুড়ে দেন দিল্লির সামনে।

অন্যদিকে ব্যাট করতে নামলে শুরুতেই দিল্লি জোড়া ধাক্কা খায়। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান রাহানে। এরপর ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় কামিন্সের বলেই আবারো বোল্ড হন গত দু’‌ম্যাচে পরপর শতরান করা শিখর ধাওয়ান। তবে এতে মোটেই দমে যাওয়ার পাত্র নয় দিল্লি। বস্তুত এরপরই পালটা লড়াই শুরু করেন ঋষভ এবং শ্রেয়স। সেইসঙ্গে দু‌’‌জনে মিলে দ্রুত গতিতে রানও তুলতে থাকেন।

কিন্তু এবার দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। চার ওভারের বোলিংয়ের প্রথম তিন ওভারেই তিনি তুলে নেন পরপর পাঁচটি উইকেট। যার মধ্যে একবার হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারিনের পর কেকেআরের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন বরুণ চক্রবর্তী। শেষপর্যন্ত তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৪–০–২০–৫। ম্যাচের শেষে তাই ৫ উইকেট নেওয়া এই সতীর্থের হাতেই বল তুলে দিলেন সুনীল নারিন, আর এরই সঙ্গে নতুন করে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেকেআর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!