প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক থেকে বিরোধী, বীরভূম জেলার নেতারা একটু দাপটের সঙ্গেই রাজনীতি করেন বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। অতীতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশকে বোমা মারার কথা বলে হুশিয়ারি দিতে দেখা গেছে। যা নিঃসন্দেহে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এদিকে কিছুদিন আগেই এক পুলিশ অফিসারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সরব হয়েছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। আর এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি মূলক মন্তব্য প্রদানের জন্য সেই শ্যামাপদবাবুকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জেরা করল রামপুরহাট থানার পুলিশ। তবে তাদের নেতাকে এভাবে জেরা করার কারণে এদিন বিজেপি ব্যাপকভাবে শক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শ্যামাপদ মন্ডলকে পুলিশের পক্ষ থেকে জেরা করা হয়। এদিকে শ্যামাপদ মন্ডল রামপুরহাট থানায় আসছেন জেনেই বিজেপি কর্মীরা রামপুরহাট থানার মুখে 30 টির বেশী গাড়ি এবং একশোর বেশি মোটর বাইক রালি করে চলে আসেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের নেতাকে এভাবে জেরা করার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা এই বাইক এবং গাড়ি নিয়ে এসে থানার সামনে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করায় পুলিশ এবং তৃণমূলকে যে তারা আর এক চুল জমি ছেড়ে দেবে না, তা বুঝিয়ে দিল বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে থানায় ঢোকার আগে বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “এর আগেও অনেক অভিযোগ হয়েছে। আদালতে জামিন নিয়েছি। কিন্তু এই অভিযোগে দেখলাম, পুলিশ নোটিশ দিয়ে থানায় ডেকেছে। আসলে বিজেপিকে রুখবার জন্য তৃণমূল পুলিশকে হাতিয়ার করেছে। পুলিশও নিত্যনতুন ফায়দা বের করেছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ আইনের রক্ষক। তৃণমূল হোক বা বিজেপি, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা পুলিশকে আক্রমণ করবেন, এটা সত্যিই কাম্য নয়। অতীতে অনুব্রত মণ্ডলের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। আর এবার বিজেপির জেলা সভাপতি যেভাবে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জেরা করার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি যেভাবে শক্তি প্রদর্শন করল, তা বীরভূম জেলা রাজনীতিতে নতুন ইঙ্গিত বহন করতে চলেছে বলেই মনে করছে একাংশ। অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটিতে যেভাবে বিজেপি তাদের জেলা সভাপতিকে থানায় ডেকে জেরা করা নিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে যে তারা প্রস্তুত, তা আরও একবার বিজেপির পক্ষ থেকে প্রমাণ করে দেওয়ার চেষ্টা হল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।