এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কোন পথে কোন অঙ্কে মোদী-বিদায় সরল সমীকরণে জানিয়ে দিলেন

কোন পথে কোন অঙ্কে মোদী-বিদায় সরল সমীকরণে জানিয়ে দিলেন

আগামী লোকসভা ভোটে কেন্দ্র থেকে গেরুয়া ঝান্ডাকে হটানোর মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে অনেকদিন আগেই।  অবিজেপি জোটের প্রধান মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখেন জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীও। তার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে পৌছাতে মরিয়া তিনি। এবার মোদী সরকারের হাত থেকে কেন্দ্রের রাশকে টেনে নিতে ‘একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর তত্ত্ব’-তেই ফের আস্থা রাখতে বললেন বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবী,নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা তো রয়েইছে,এর পাশাপাশি যদি ৭৫ টি আসনে বিরোধীরা যদি এককভাবে প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করে তাহলেই আসন্ন লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়াকে ঠেকানো সম্ভব। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন ২০১৪ সালের মোদী-ম্যাজিক আর নেই। তাই এবার বিজেপি সরকারকে ধরাশায়ী করা সোজা। তিনি রাজনৈতিক গনৎকার নন,তবে এটুকু জানেন বিরোধী জোটের সামনে মোদী সরকারকে দাঁড়াতে গেলে বেশ বেগ পেতে হবে এবার। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলির জোটগুলোকেও আরো শক্তিশালী করে তুলতে পরামর্শ দিলেন তিনি। জানালেন, অন্তত ৭৫ টি আসনে যদি একরকম ভাবে লড়াই করা যায় তবে মোদী সরকার আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ওদিকে উওরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়বতী যদি জোট বাঁধে তাহলেই স্রোত বিরোধীদের দিক দিয়েই বইবে। এমনটাই জানালেন তিনি এদিন সর্ব ভারতীয় এক ইংরাজি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে।

তবে আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। এটা জয়ের পথের কাঁটা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, পারস্পরিক মন কষাকষি ভুলে মোদীসরকার হটানোকে পাখির চোখ করে একজোটে এগিয়ে আসতে হবে সব আঞ্চলিক দলগুলোকে। এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করলেন যে, কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক আঞ্চলিক দলেরই মতের অমিল থাকে। এক্ষেত্রে নেত্রীর বিশেষ পরামর্শ, কংগ্রেস যেখানে শক্তিশালী সেখানে তাঁরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগোক, কিন্তু যেখানে কংগ্রেসের শক্তি কম,সেখানে দায়িত্ব নিতে হবে আঞ্চলিক দলগুলোকে।

তবে এসবের পাশাপাশি এদিন তিনি নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছেটাকেও একদমই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন না। সাফ কথায় না বললেও,হাল্কা ইঙ্গিত দিয়ে জানালেন যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি লোভী নন,তবে এটাও জানালেন যে তিনি কোনোভাবেই বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করতে পারেন না। তিনি শুধু একটু নিজের সম্পর্কে জানালেন যে,তিনি সিজনড পলিটিসিয়ান,সাতবারের এমপি,দুবারের বিধায়ক এবং দুবারের মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ উঠলে তিনি জানালেন কংগ্রেস সুপ্রিমোকে কোনোভাবেই বিরোধী জোটের কর্নধার বলা যায় না। তিনি রাজনীতিতে অনেক জুনিয়ার এবং কংগ্রেস পরিবারের সদস্য-এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন সনিয়াপূত্রকে বঙ্গের নেত্রী। তবে পরস্থিতির সাপেক্ষে রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করার প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন এলে কায়দা করে উত্তর দিয়ে দেন নেত্রী। জানান,’ মানুষ যা রায় দেবে,সেটাকেই শিরোধার্য করতে হবে।’

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য, অটল বিহারী যখন প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন তখন কিন্তু বিজেপিকেই সমর্থন করতেন তৃণমূল নেত্রী। এখন কট্টর বিজেপি বিরোধী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে ‘অটলজি ইজ অটলজি’, তাঁর মতো বিজেপি নেতা এখন আর এদেশে নেই। তাই এখনকার বিজেপিকে তিনি সমর্থন করেন না। তাঁর মতে ‘গুন্ডামি’ করে দেশ চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। গণতান্ত্রিক দেশে এটা সমর্থনযোগ্যই নয়। তিনি সবসময় একতার পক্ষেই হেঁটেছেন এমনটাি জানালেন তিনি। এখনকার বিজেপি প্রসঙ্গে জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহ সম্পর্কে নেত্রীর মতামত চাওয়া হলে তিনি ওঁনার নাম শুনতেই চাইলেন না। তিনি অভিযোগের সুরে জানালেন যে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপি সিবিআই,ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নেত্রীর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি চুপ করে থাকার পাত্রী নন হুমকির সামনে এমনটাই গর্জে উঠে জানালেন তিনি সাক্ষাৎকারে। কথাশেষে টানলেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গও। টিএমসি-তে তাঁর ক্রমবর্ধমান উত্থান নিয়ে নেত্রীর বক্তব্য,অভিষেকবাবু  কেবল একজন এমপি। তবে নতুন প্রজন্মকে কাজ করতে দিতে হবে। এর পাশাপাশি আরো জানালেন যে, যাঁরা ডায়নামিক  একাগ্র এবং নিষ্ঠাবান তাঁদেরকে উৎসাহ যোগান তিনি দলের কাজের জন্য। তবে স্বার্থপররা কেবল পকেটপূর্তিতেই ব্যস্ত,তাঁদের জন্য দলে কোনো জায়গা নেই বলেও সতর্ক করে দিলেন নেত্রী।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!