এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা! কৃষকদের জন্য বড়সড় খুশির খবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা! কৃষকদের জন্য বড়সড় খুশির খবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতে শিল্প অনেকটাই বেড়েছে, তৈরী হয়েছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা, সেইসঙ্গে কলেবর বৃদ্ধি করেছে বহু শহর, গড়ে উঠেছে অনেক নতুন শহর, অনেকে গ্রাম রূপান্তরিত হয়েছে শহরে। কিন্তু এতসবের পরেও ভারতের অর্থনীতি কিন্তু এখনও যথেষ্টভাবেই গ্রাম ও কৃষিকে নির্ভর করেই পথ চলছে। তাই গ্রামের উন্নতি, কৃষির উন্নতি, সর্বোপরি কৃষকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতিই হলো দেশের সার্বিক উন্নতির সোপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদানের এই বিষয়টি কিন্তু বিলক্ষণ জানেন। তাই তিনি দেশের কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের উন্নতির জন্য বারবার বহু প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রকে সতেজ করতে প্রধানমন্ত্রী জোর দিতে চাইছেন কৃষির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেই সাথে কৃষির উৎপাদন ইউনিট নির্মাণে। আর এই দুটি ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে কেন্দ্র সরকার কৃষক, কৃষি সমিতি, কৃষক সমবায় সংস্থা ও কৃষি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের হারে বার্ষিক ৩ % পর্যন্ত ছাড় দেবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। এই বিশেষ ছাড়ের সুবিধা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক ঋণের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে। শুধু ছাড়ই নয় সেইসঙ্গে দেওয়া হবে প্রকল্প অনুযায়ী ক্রেডিট গ্যারান্টি কভারেজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। সুদের হরে এই ছাড় প্রধানত ফসল উৎপাদনের পর তার বিপণন, ফসলের সংরক্ষন, সাপ্লাই লাইন, ফসলের প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি বিপণন সংস্থার নির্মাণের ক্ষেত্রে। এভাবে দেশের গ্রামীণ এলাকায় অনেক সুযোগ সুবিধা দানের মাধ্যমে কৃষিকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, দেশের কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ফসল তোলেন, কিন্তু লাভের গুড় খায় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। আর্থিক দুরবস্থার কারণেই তাদের উপরে নির্ভর করতে বাধ্য হন কৃষকেরা। তাই কৃষকেরা ফসলের উপযুক্ত দাম পান না। আর্থিক দুরবস্থার কারণেই কৃষকেরা উন্নতি করতে পারেন না কৃষিক্ষেত্রের। এই অবস্থার বদল চান প্রধানমন্ত্রী। এ কারণেই তিনি চান এখন থেকে ফসল উৎপাদন, ফসল সংরক্ষন, ফসল রপ্তানি সম্পূর্ণ কাজটাই করা হোক কৃষকের দ্বারা। এর সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী উৎসাহিত করতে চাইছেন কৃষির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সামিল করতে। কিন্তু, অর্থাভাবের কারণ হেতু কৃষকেরা অনেকক্ষেত্রেই বড়মাপের অর্থ লগ্নি করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন না ।

তাই এককভাবে সম্ভব না হলে জোটবদ্ধ হয়ে সমবায় গঠন করে কিংবা কৃষি সহায়ক সমিতি দ্বারাও এই আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী কৃষিক্ষেত্র ও কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এই অর্থের থেকে ঘোষণার প্রথম দিনেই বরাদ্দ করা হলো ২২৮০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ” আমরা চাইছি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখন থেকে সরাসরি কৃষকরাও এগিয়ে আসুক পরিকাঠামো নির্মাণে। কারণ কৃষকদের ফসল উৎপাদনের পর সবথেকে বড় সমস্যা তৈরি হয় সেই ফসলকে বাজারজাত করতে এবং যথাযথ দাম পেতে।”

কৃষিক্ষেত্রকে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের প্রভাব মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সমস্ত জেলায় হিমঘর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, সাপ্লাই চেন সমিতি, ফসল সংরক্ষণ কেন্দ্র, ফসল সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তোলা। এর সঙ্গেই সমস্ত জেলায় নির্মাণ করা হবে কৃষি ক্লাস্টার। এর সঙ্গে দেশের ৩৫০ টি জেলায় নির্মাণ করা হবে কৃষি ইউনিট স্টার্ট আপস কেন্দ্র।

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোট ৮ কোটি কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছেন কিষাণ নিধি সম্মান প্রকল্পের মোট ১৭ হাজার কোটি টাকা। কৃষকদের প্রতি বিশেষ সন্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ” লকডাউন এবং আনলক পর্বে একমাত্র কৃষক ও গ্রামীণ অর্থনীতি দেশকে সচল রেখেছে। তাই আগামী দিনে শিল্পমহল গ্রামে লগ্নি করলে বিশেষ প্যাকেজ দেবে সরকার।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!