এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রী-তৃণমূল সাংসদের বৈঠকে মোদির সৌজন্যে মুগ্ধ মমতার প্রতিনিধি থেকে রাজনৈতিকমহল

প্রধানমন্ত্রী-তৃণমূল সাংসদের বৈঠকে মোদির সৌজন্যে মুগ্ধ মমতার প্রতিনিধি থেকে রাজনৈতিকমহল


লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবার কখনও বা পাল্টা বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে সম্বোধন করে সারদা, নারদা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন।

যার ফলস্বরুপ বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল কিছুটা খারাপ হলেও বিজেপি 18 টা আসন পেয়ে নিজেদের বিস্তার বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। আর এমতাবস্থায় বাংলায় যখন বিজেপির সাথে তৃণমূলের কার্যত আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক, ঠিক তখনই উল্টো ছবি দেখা গেল ভারতবর্ষের সংসদে।

অনেকেই ভেবেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে যেভাবে বিজেপি নেতা নেত্রীদের সাথে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের তরজা বেধেছে, তাতে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সম্পর্কে আরও জটিলতা বাড়বে। তবে সেই সমস্ত আশঙ্কাকে দূরীভূত করে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের সংসদীয় দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন সংসদে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা নামকরণ মেনে নেওয়া, বিলগ্নীকরণ নীতি পুনর্বিবেচনা করা, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি কর্পোরেশন না করা, বিষয়গুলি নিয়ে মিনিট পনেরো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে গেলেও এই বৈঠকে সৌজন্যই যেন প্রধান বিষয় হয়ে উঠল।

সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের টেবিলের উল্টোদিকে তৃণমূল সাংসদরা বসলে তাদের কিছুটা ঠাট্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার পাশে বসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাগ করবেন না।” আর এরপরই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দু’পাশে দুটি চেয়ারে বসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে সৌগত রায় এবং তার পাশে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেখানেই সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ করিয়ে দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ করানোর সময় সুদীপবাবু বাড়তি গুরুত্ব দেন। আর এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরস্পরের সঙ্গে নমস্কার করেন। এদিকে বৈঠক শেষ হওয়ার পরও সৌজন্যের খামতি দেখা যায়নি কোথাও।

জানা যায়, 2016 সালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার চোখ কেমন আছে!” পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দেন, “চোখ এখন ভালো আছে। তবে দুবার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে রাজনৈতিক বৈরিতা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু সৌজন্যতার মাঝে সেই বৈরিতা এলেই সমস্যা দেখা দেয়। বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক কারোরই অজানা নয়।

কিন্তু এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে যেভাবে তৃণমূলের সাংসদদের সৌজন্যতায় বেঁধে দিয়ে ঘোর বিরোধী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজখবর নিলেন নরেন্দ্র মোদী, তাতে রাজনীতিতে সৌজন্যতা যে মুছে যায়নি, তা ফের আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!