এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রধানমন্ত্রী সভায় বিশৃঙ্খলা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপি

প্রধানমন্ত্রী সভায় বিশৃঙ্খলা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপি


কিছুদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাঁথির সভায় গন্ডগোলের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপির করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে পাল্টা বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে নালিশ জানায় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল।

আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভার কিছু দিন কাটতে না কাটতেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঠাকুরনগরের সভাতেও ফের বিশৃঙ্খলা ও গন্ডগোল সৃষ্টি হওয়ায় সেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে নালিশ জানাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্ররোচনাতেই এই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ঠিক কী হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরের সভায়? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখার কিছু পরেই পেছনের মানুষের ঠেলাতে সামনে ব্যারিকেড ভেঙে কিছু মানুষ চলে আসে। আর এরপরই কে চেয়ারে বসবে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বচসা বাধে। একে অপরকে উদ্দেশ্য করে চেয়ার ছোড়াছোড়িও শুরু হয়। ভেঙে যায় ব্যারিকেড। আর এতেই জখম হন বেশ কিছু মানুষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মঞ্চ থেকে গোটা পরিস্থিতি শান্ত করানোর আবেদন জানালেও শেষমেষ 14 মিনিটেই নিজের বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ ছাড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পরে দুর্গাপুরের সভা থেকে এই ঘটনার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর সভায় এহেন বিশৃঙ্খলায় এবার শাসকের যোগই দেখতে পাচ্ছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, সভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে সুবন্দোবস্ত নেওয়া হয়নি।

আর তাই এহেন ঘটনা ঘটেছে। এই সভার মূল উদ্যোক্তা তথা বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য মানুষের উন্মাদনা তো থাকবেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপারে প্রশাসন এখানে নির্লিপ্ত ছিল।” আর তাই এবার এই সভায় বিশৃংখলার অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির মুকুল রায়, দীলিপ ঘোষরা।

তাহলে কি সত্যি সত্যি বিজেপির করা অভিযোগ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরের সভাকে বানচাল করার জন্য তৃণমূলই পেছন থেকে এই বিশৃংখলায় মদত দিয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল একাংশ বলেন, “আসলে এটা বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা। ওরা নিজেদের দূর্বলতা ঢাকতে প্রশাসনের ঘাড়ে সমস্ত দোষ চাপাতে চাইছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কাঁথিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভার পরেই সেখানে বিশৃংখলার অভিযোগে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দল বিজেপি সোচ্চার হলে পাল্টা সেই কাঁথির গন্ডগোলের জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আর এবার সেই তৃণমূলকেই চাপে রেখে গতকাল ঠাকুরনগরের সভায় বিশৃংখলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!