এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কৃষক, মধ্যবিত্তের পর এবার ব্যবসায়ীদের জন্য চূড়ান্ত চমক দেওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী, বড়সড় সুবিধা ঘোষণা যে কোনও মুহূর্তে

কৃষক, মধ্যবিত্তের পর এবার ব্যবসায়ীদের জন্য চূড়ান্ত চমক দেওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী, বড়সড় সুবিধা ঘোষণা যে কোনও মুহূর্তে

লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দিতে ফের বড়সড় মাষ্টারস্ট্রোক মোদীর। কৃষক,মধ্যবিত্তদের মুখে হাসি ফোটানোর পর এবার দেশের বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সন্তুষ্ট করতে নয়া চমক দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। খুব শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের খুশি করতে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের ব্যবসায়ীদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্পের আওতায় আনতে ইচ্ছুক মোদী। পাশাপাশি মহিলাদের আরও বেশি করে স্বনির্ভর করতে তাঁদের ব্যাঙ্ক ঋণের নিয়মকানুনের জটিলতা কমাতে পারেন তিনি। সম্প্রতি একাধিক বণিক সংগঠনের শীর্ষকর্তাদের এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

ট্রেডারদের সংগঠন সূত্রের খবর, বর্তমানে দেশে প্রায় সাত কোটি ছোট ব্যবসায়ী রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে কীভাবে বিশেষ বিমা পরিষেবার সুবিধার আওতায় আনা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। জিএসটি রেজিস্ট্রেশন আছে বা কম্পোজিট স্কিমের আওতায় আছেন, এমন ব্যবসায়ীদের ১০ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনাজনিত বিমার সুবিধা দেওয়া হবে এমনটাই ব্যবসায়ীমহলকে ইঙ্গিত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

তবে কেন্দ্রের তরৈ থেকে এটাও ঘোষণা করা হয়েছে,বছরে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়িক টার্নওভার হলে জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের দরকার নেই। সেক্ষেত্রে বহুসংখ্যক ট্রেডার ওই সুবিধার আওতায় না আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কীভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায় তা নিয়েই বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে মোদী সরকার।

নোটবন্দি করে দেশের কালো টাকা সাদা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে কথা রাখতে পারেননি মোদী। উল্টে এর জেরে বহু ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ী। সে ধাক্কা থেকে এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি শিল্পমহল। তার উপর জিএসটি-র জ্বালাতেও ব্যবসায়ীরা জর্জরিত। জোর করে দেশের করকাঠামোকে এক ছাতার তলায় আনতে গিয়ে সব ল্যাজেগোবরে করেছেন মোদী,তার খেসারত দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের,এমনটাই অভিযোগ বিভিন্নমহলের। তারপরও জিএসটি কাঠামোর ত্রুটিগুলো সংস্কার করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখনো জিএসটি নেটওয়ার্কজনিত সফ্টওয়্যার সুষ্ঠুভাবে কাজ করে না,এমন অভিযোগ এনেছেন অনেকে। তাই নোটবাতিল এবং জিএসটি নিয়ে বহুদিন ধরেই কেন্দ্রর উপর ক্ষুব্ধ রয়েছে শিল্পমহল। তাই লোকসভার মুখে ব্যবসায়ীদের ঠান্ডা করতে ছোট ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ দিতে দরাজ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ৫৯ মিনিটে ঝণ পাইয়ে দেওয়ার সুবিধা আনা হয়েছে স্কিমে। তবে যেখানে ব্যাঙ্কগুলি বিপুল অঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ নিয়ে জর্জরিত, সেখানে আবারও তাদের নতুন করে বিপদে ফেলার সম্ভাবনা অমূলক না বলেই মনে করছেন অনেকে।

কারণ, যেখানে বড় সংস্থাগুলিকে ঋণ দিয়ে তা আর আদায় করতে পারছে না ব্যাঙ্কগুলি, সেখানে ছোট শিল্পের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা এত তাড়াতাড়ি যাচাই হবে কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে সমালোচকমহলে। এরপরও ঋণের পরিমান বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে ঋণের শর্ত শিথিলতাও আনতে পারেন মোদী।

ভোটের আগে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখাতেই এই নয়া কৌশল কেন্দ্র সরকারের এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের। তবে এতসব ঋণদান কার্যকর করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে সমস্যার মুখে ফেলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্নমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!