এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেই রাজ্যপালের ইঙ্গিত – ‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই’! শুরু তীব্র বিতর্ক

প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেই রাজ্যপালের ইঙ্গিত – ‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই’! শুরু তীব্র বিতর্ক


লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এবার রাজ্যসরকারকেই অস্বস্তিতে ফেললেন রাজ্যপাল। এদিন আচার্য হিসাবে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করে ফেললেন এক বেফাঁস মন্তব্য। রাজ্যে যে এই মুহূর্তে গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই তার স্বপক্ষে সওয়াল করে ফেললেন তিনি।

প্রসঙ্গত,সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনো দল বা ব্যক্তিবিশেষের নামোল্লেখ না করে বলেছিলেন, বাংলায় গনতন্ত্র,আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। নির্বাচনে বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস চালানো পশ্চিমবঙ্গে আমবাত হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে মোদীকে সমর্থন করে বিতর্ককে আরো উস্কে দিলেন।

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আপনি কী মনে করেন?’ জবাবে রাজ্যপাল বলেছিলেন,প্রমাণ রয়েছে বলেই প্রধানমন্ত্রী এধরনের মন্তব্য করেছেন নিশ্চয়। এরপর ফের তাকে প্রশ্ন করা হয়,’আপনি তো রাজ্যপাল,আপনার কাছে এ নিয়ে কী তথ্য রয়েছে?’

রাজ্যপাল জানান,তাঁর কাছে তথ্য থাকলেও তিনি সেটা বাইরে প্রকাশ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য,রাজ্যের গনতন্ত্র বিষয়ে কী এমন তথ্য রয়েছে যা তিনি প্রকাশ করতে পারছেন না? এ প্রশ্ন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিভিন্নমহলে। রাজ্যপালের রাজ্যসরকারবিরোধী মন্তব্যের কারণে উদ্বেগে শাসকদল। এমনটাই অভিমত বিশ্লেষকদের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজ্যপালের বক্তব্যের পাল্টা দিতে এবং কড়াভাবে বিরোধীদের জল্পনার ইতি টানতে আসরে নামেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন,রাজ্যপাল আসলে একটি সাংবিধানিক পদ৷ এই পদ পেতে নির্বাচিত হতে হয় না।  রাজ্যসরকার বিরোধী কথা বলে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সাংবিধানিক পদের অধিকারের অমর্যাদা করেছেন বলেই অভিমত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

পাশাপাশি রাজ্যপালকে তোপ দেগে বলেন,’একজন রাজ্যপাল তো রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ হবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কথা বলছেন কেন? আসলে, এই পদে তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। হয়ত তিনি চাইছেন, আরও কিছুদিন ওই পদে থেকে যেতে। তাই এসব রাজনৈতিক কথা বলছেন। আর তাঁর হাতেও যে তথ্য রয়েছে বলছেন, সেটা তিনি প্রকাশ করুন। এতে অত গোপনীয়তার কী আছে?’

এরপর প্রধানমন্ত্রীকেও বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি। তাঁর পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিরোধী মন্তব্যের জন্য কড়া সমালোচনা করেন মহাসচিব। বিজেপি সরকারেকে কটাক্ষ করে বলেন, গনতন্ত্র পশ্চিমবঙ্গে নেই,উত্তরপ্রদেশে রয়েছে! যোগীর রাজ্যে পুলিশ কর্তা থেকে সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। অন্য একটি বিজেপি শাসিত রাজ্য সংখ্যালঘু হওয়ার অপরাধে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। সে ব্যাপারে মোদী কোনো কথা বলেন না। যত অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে! এরপর রাফাল ইস্যুর প্রসঙ্গ তুলেও বিজেপি সরকারকে কড়াভাবে একহাত দিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে আরো বলেন,’সার্জিকাল স্ট্রাইক সেনাদের অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বের নিদর্শন। সেটাকে কোনও দলের বলে চালানো আসলে সেনাদের এই সাহস এবং আত্মত্যাগেরই অপমান।’ উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন ফের রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে এবং বিজেপি সরকারকে তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলকে তুলোধনা করতে এল তৃণমূল মুখ বুঝে সহ্য করবে না৷ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে সেটারও সাফ ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন তিনি,এমনটাই দাবী অভিজ্ঞমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!