‘দুহাতে লাড্ডু বিলোনো’ শিল্পাঞ্চলের বন্ধ কারখানা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? উঠছে প্রশ্ন জাতীয় রাজ্য July 18, 2018 প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যের বন্ধ শিল্পের কর্মীরা। তারা একরকম বিক্ষুদ্ধ হয়েই জানালেন এদিন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের কৃষকদের জন্যে আয়োজিত জনসভায় এলেন ঠিকই কিন্তু রাজ্যের বন্ধ শিল্প গুলির বিষয়ে নীরব রইলেন। অথচ এই নরেন্দ্র মোদী গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারকার্যে আসানসোলে উপস্থিত হয়ে সেখানকার বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে জয়ী করার জন্যে মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন পরিবর্তে তিনি শিল্পাঞ্চলের মানুষজনকে দু’হাতে লাড্ডু তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরেই রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলস এবং বার্ণ স্ট্যান্ডার্ড কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট নিয়েও তৈরী হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বললেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আসানসোল বা দুর্গাপুরে কোনও শিল্প আসেনি। অথচ এখানকার সংসদ সদস্য ভারী শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী। হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি তিনিও দিয়েছিলেন। তাঁর আশ্বাস পেয়ে সেখানকার কর্মীরা সেইসময় মিষ্টি মুখ করেছিলেন। আবির খেলেছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দের রেশ বেশিদিন থাকেনি। কয়েকমাস পরেই কারখানার গেট চিরদিনের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়। তাই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এসে যখন কৃষির কথা বলছিলেন সেইসময় দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন হিন্দুস্থান কেবলস, বার্ণ স্ট্যান্ডার্ডের কর্মীরা। অন্যদিকে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আসানসোল বা দুর্গাপুরে কোনও শিল্প আসেনি। অথচ এখানকার সংসদ সদস্য ভারী শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী। হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি তিনিও দিয়েছিলেন। তাঁর আশ্বাস পেয়ে সেখানকার কর্মীরা সেইসময় মিষ্টি মুখ করেছিলেন। আবির খেলেছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দের রেশ বেশিদিন থাকেনি। কয়েকমাস পরেই কারখানার গেট চিরদিনের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়। তাই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এসে যখন কৃষির কথা বলছিলেন সেইসময় দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন হিন্দুস্থান কেবলস, বার্ণ স্ট্যান্ডার্ডের কর্মীরা। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অবশ্য বললেন, “ওই কারখানাগুলি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছিল। আমাদের সরকার সেগুলি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।” বন্ধ হয়ে যাওয়া বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কর্মী আশিস বাগ নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বললেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো কারখানার উন্নতি হবে। তা না হয়ে হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেওয়া হল। আমাদের পাওনাও মেটানো হয়নি। এখানে ২৯২ জন কর্মী এবং ৫৬ জন আধিকারিক ছিলেন। তাঁদের কেউই এখনও পিএফ, গ্র্যাচুইটির টাকা পাননি। খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছি। আদৌ তা পাব কিনা সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর শিল্পের দিকটি ভাবা দরকার। দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যে আন্দোলনকারী ঐ কারখানারই কর্মী জয়ন্ত রক্ষিত বললেন, “ওরা অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টও বন্ধ করার ছক কষেছিল। আমাদের চাপে আপাতত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।” আপনার মতামত জানান -