এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রধানমন্ত্রী নেতাজিকে নিয়ে পদক্ষেপ নিতেই কি ‘উল্টো’ সুরে কথা বলা শুরু করল সিপিএম সহ বাম দলগুলি?

প্রধানমন্ত্রী নেতাজিকে নিয়ে পদক্ষেপ নিতেই কি ‘উল্টো’ সুরে কথা বলা শুরু করল সিপিএম সহ বাম দলগুলি?

নেতাজির ভাবমূর্তিকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোট যুদ্ধে ফতেহ হাসিল করতে চায় বিজেপি,এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে বহুদিন আগেই দিয়ে দিয়েছেন মোদী। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবছর নেতাজির ছবি সহ ৭৫ টাকার কয়েনও চালু করে মোদী সরকার। দেশের জনপ্রিয় এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সম্মান দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে আমজনতার মন জয় করতে চায় মোদী,এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিকমহলের।

মোদীর নেতাজি আবেগ প্রকাশের পরই সিপিএম আজাদ হিন্দ বাহিনী সংক্রান্ত যাবতীয় অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশের দাবী জানালো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিবসকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবেও ঘোষণা করার দাবী জানানো হল।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দলীয় মুখপাত্রে নেতাজীকে ‘তোজোর কুকুর’ বলে কটাক্ষ করেছিল অবিভক্ত সিপিআই। আর এখন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে গিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি কেন নেতাজিকে সম্মান জ্ঞাপনে উৎসাহ দেখাচ্ছে তা নিয়ে সত্যিই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সিপিএম,সিপিআই সহ সবক’টি বামদল সংগঠিত ভাবে এই সংক্রান্ত বিবৃতি জারি করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে,‘অবিলম্বে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিবসকে দেশপ্রেস দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এবং নেতাজির হাতে তৈরি আজাদ হিন্দ বাহিনী (আইএনএ) ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের সমস্ত অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে মোদি সরকারকে।’

শুধু তাই নয়,এই প্রসঙ্গে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে বিভেদের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছে বামপন্থী দলগুলো। গত ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন। সে প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে বলা হয়,দেশ জুড়ে ঐক্যের কথা বলতেন নেতাজি। আর সেই জাতীয় ঐক্য সম্পর্কে একটা কথাও বলতে শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে।

বামপন্থী দলগুলো এমনটাও জানিয়েছে,মোদী সরকার যদি লোকসভা ভোটের আগে নেতাজি সংক্রান্ত তাঁদের দাবীদাওয়াগুলো পূরণ না করে তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যেই নেতাজির কিছু ফাইল প্রকাশ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মোদী।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দেশবাসীর নেতাজী আবেগকে কাজে লাগিয়ে দিল্লির মসনদে ফের জায়গা করে নেবে বিজেপি সরকার,এমনটাই পরিকল্পনা মোদী-শাহের। কিন্তু বিজেপির পরিকল্পনা বিজেপির বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে মাস্টারস্ট্রোক বামেদের। বামেদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়,এই মুহূর্তে। সংগঠনও দূর্বল প্রতিপক্ষদের তুলনায়।

তবুও লড়াইয়ের ময়দান আগেই ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। তাই কখনো বিজেপি,কখনো তৃণমূলকে উস্কে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামটা জারি রেখেছে বামেরা,এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। তবে বামপন্থী দলের এই দাবীর ভিত্তিতে মোদী সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়,সেটা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!