প্রধানমন্ত্রী জনসভার পরেই উত্তরবঙ্গে গেরুয়া হওয়া ক্রমশ ঝড় হয়ে উঠবে – আশা বিজেপি কর্মীদের কলকাতা জাতীয় রাজ্য March 25, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্য থেকে যেমন 22 থেকে 23 টি আসন নিজেদের দখলে রাখার টার্গেট নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব, ঠিক তেমনই সারা রাজ্যের মধ্যে “সেফ সিট” হিসেবে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রকেই টার্গেট করেছে তারা। আর তাইতো এবার আগামী 3 এপ্রিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর দলের শীর্ষ নেতার এই উত্তরবঙ্গ সফর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের কাছে অত্যন্ত উজ্জীবিত হওয়ার কারণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, আগামী 18 এপ্রিল জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজ নিজ আঙ্গিকে প্রচারে নেমে পড়লেও এখানকার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে চিকিৎসক জয়ন্ত রায়ের নাম ঘোষণা করলেও দলের একাংশ তাকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার সেই দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমন করতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত কাজে লাগবে বলেই মনে করছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা। জানা গেছে, 3 এপ্রিল এনজেপি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরষ সভা করতে আসবেন। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা সমস্ত দ্বন্দ্ব ভুলে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে আশা গেরুয়া শিবিরের। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি ঝড়ে অন্যান্যরা লন্ডভন্ড হয়ে যাবেন।” তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নয়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সহ অন্যান্যরাও বিজেপির হয়ে প্রচার এসে মাত করতে পারেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিজেপি যখন তাদের হেভিওয়েটকে নিয়ে এসে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র তথা উত্তরবঙ্গের সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে জোর প্রচার চালাচ্ছে, ঠিক তখনই সেখানে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “আগামী 6 থেকে 8 অপ্রিল আমাদের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস দলের হয়ে প্রচার চালাবেন। পাশাপাশি মলয় ঘটক, শশী পাঁজা সহ আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচারে আসবেন।” সব মিলিয়ে এবার হেভিওয়েট শাসক বনাম বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের প্রচারে শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে কার প্রভাব বেশি থাকে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -