এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি! হাল ফেরাতে সন্তর্পনে বড়সড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর

লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি! হাল ফেরাতে সন্তর্পনে বড়সড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর


প্রথমে 21 দিন এবং তারপর 19 দিন ধরে গোটা দেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেশকে বাঁচাতে এবং করোনা ভাইরাসকে বধ করতে এই লকডাউন করা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় ছিল না‌। তবে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় দেশ অচল হওয়ার পর আদৌ অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সোজা থাকবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

অর্থনীতিবীদ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি প্রত্যেকেই এই আশঙ্কায় দিন গুনছেন। তাই প্রত্যেকেই এখন প্রার্থনা করছেন, দ্রুত করোনা ভাইরাস বিদায় নিক। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অত্যন্ত ভালভাবেই জানেন, টানা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ থাকায়, দেশ খোলার পর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন আকার ধারণ করবে! আর বিভিন্ন মহলে যখন এই ব্যাপারে আশঙ্কার পারদ চড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই লকডাউনের মধ্যে কেন্দ্রে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল ঘটল।

সূত্রের খবর, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপে আইএএস অফিসার তরুণ বাজাজ এবং এ কে শর্মাকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পরিবর্তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদে নিয়োগ করা হল। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরে নতুন করে 23 জন আমলাকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? একাংশের মতে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক ধাক্কা সামলানোর জন্য এই দুই অভিজ্ঞ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, 1988 সালের হরিয়ানার ক্যাডার অফিসার তরুণ বাজাজ আর্থিক সেক্রেটারি এবং একে শর্মা ছোট ও মাঝারি দপ্তরের দায়িত্ব নিতে চলেছেন। বস্তুত, এই এ কে শর্মা যে দপ্তরে আসছেন, সেখানে এতদিন দায়িত্বে ছিলেন অতনু চক্রবর্তী। চলতি মাসেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবুও নানা মহলের তরফে জানানো হচ্ছিল যে, মেয়াদ শেষ হলেও তাকে রেখে দেওয়া হবে।

তবে দেশের অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে কাউকে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী যে তিনি নন, তা এই সিদ্ধান্ত নিয়েই বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করতে কাজে লাগাতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদে দুই বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করার পাশাপাশি বেশ কিছু পদে বিশিষ্ট আমলাদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

অর্থাৎ এই সমস্ত বিশিষ্টদের শীর্ষ পদে নিয়োগ করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কিভাবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ডকে শক্তিশালী করা যায়, তার ব্যাপারে পরামর্শ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনা পরবর্তী সময়ে – ভারত কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্যতম সুপার পাওয়ার হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, তার জন্য এখন সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক স্তরে এই রদবদল কতটা হিতের পক্ষে যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!