এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে বড়সড় পদক্ষেপ মোদীর, ঘুম উড়তে চলেছে পাকিস্তান-চীনের

ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে বড়সড় পদক্ষেপ মোদীর, ঘুম উড়তে চলেছে পাকিস্তান-চীনের


শুরুতেই বাজিমাত – শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ সফর দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর মাধ্যমেই চীন ও পাকিস্তানকে কড়া কূটনৈতিক বার্তাই় দিতে চলেছেন তিনি বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে একদিকে যেমন উদ্দেশ্য চীনকে চাপে রাখা, একই সঙ্গে পাকিস্তানকেউ চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলা।

দীর্ঘমেয়াদে ওই দুই দেশকে কোণঠাসা করতেই বিদেশনীতিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে মনে করছেন দিল্লির রাজনৈতিক মহল। আর এই কাজে তাঁর প্রধান সেনাপতি হতে চলেছেন নতুন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। আগামীকাল থেকে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সফরের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিতে চাইছেন এখন তাঁর মূল লক্ষ্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভারতের প্রভাব আরও বেশি করে বাড়িয়ে চীন ও পাকিস্তানকে কোণঠাসা করাই লক্ষ্য তাঁর।

প্রধানমন্ত্রী আজ নিজেই বলেছেন, মালদ্বীপ ভারতের স্বাভাবিক মিত্র। এই মিত্রতাকে আমরা নতুন স্তরে নিয়ে যেতে চাই। তাই এবারে সফল হবে একটি নতুন যাত্রার দিকে আমাদের দুই দেশের এগিয়ে যাওয়া। শ্রীলংকার সন্ত্রাসের লড়াইয়ে ভারত যে সম্পূর্ণভাবে পাশে আছে তাও জানাতে ভোলেননি তিনি। এই সফরে আগামীকাল মালদ্বীপের সংসদেও ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বলে জানা গেছে। দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই প্রথম দিন থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নতুন ভাবে ভারত একটা সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সুসম্পর্ক স্থাপনের ফলে সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পারস্পরিক সম্পর্ককে একটি অক্ষশক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই অক্ষশক্তির জোরেই শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নয়, আর্থসামাজিক সহায়তাও ভারত দেবে এইসব দেশকে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মালদ্বীপে ভারতে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেবে। মালদ্বীপের জাতীয় ক্রিকেট টিমও গড়ে তোলা হবে। এই কাজটিও করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের একটি টিমও যাচ্ছে মালদ্বীপ।

একই সঙ্গে মোট চারটি নতুন আর্থিক চুক্তি ও এক ঝাঁক সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হবে। ২০১১-এর পর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। অবশ্য ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই মালদ্বীপে জল কূটনীতির মাধ্যমে বড়োসড়ো জয় হাসিল করেছিল মোদি সরকার। মালদ্বীপের পানীয় জল সংকটে চীন সাহায্য করার আগেই রাতারাতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিমান ও জাহাজ মারফত সেখানে পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।

কিন্তু তারপরই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় মালদ্বীপে। দেশান্তরী হতে হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে এবং নতুন শাসক হয়ে যান চীনপন্থী। পরবর্তীকালে অবশ্য সেই পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়। আর ঠিক এই কারণেই দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই প্রথম থেকেই মোদি সরকার পাশে পেতে চাইছে মালদ্বীপকে। একইভাবে শ্রীলংকাতেও পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দাপট খর্ব করার পরিকল্পনা দ্বিতীয় মোদি সরকারের। সবমিলিয়ে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই পাকিস্তান ও চীনকে রীতিমত চাপে রেখে ঘুম ওড়ানোর কাজ শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!