দিদি ভয় পেয়েছেন! পিসি-ভাইপোর জুটি দুর্নীতি, তোলাবাজি, গুন্ডামি করছে: প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য April 7, 2019 মাত্র ৪ দিন আগে উত্তরবঙ্গ ও ব্রিগেডে একইদিনে পরপর দুটি জনসভা করে চমকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার বিশাল রাজনৈতিক পটভূমিতে কোনো রাজনৈতিক দল ব্রিগেড ডাকলে সাধারণত হাতে ন্যূনতম তিনমাস সময় নেয় – আর সেই একই দিনে একই রাজনৈতিক দলের অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নৈব নৈব চ! কিন্তু, সেসবের উল্টোপথে হেঁটে মাত্র চারদিন আগেই বঙ্গ রাজনীতিকে চমকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী – বিশেষ করে দুটি জনসভাতেই জনজোয়ার দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য ছিল – বাংলায় এবার বিজেপির পালে তীব্র হাওয়া বইতে চলেছে। তার কতটা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়ে নির্বাচনী সাফল্য আসবে সেটা পরের কথা, কিন্তু বিজেপির ভোট পার্সেন্টেজ যে নিশ্চিতভাবে বাড়তে চলেছে তার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। আর বিজেপিও সেই জনসমর্থনের গন্ধ পেয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে প্রথমদফার ভোটের আগে আজ আরও একবার উত্তরবঙ্গের কুচবিহারে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বলাই বাহুল্য – সেই জনসভাতেও জনজোয়ার ছিল চোখে পড়ার মত। আর সেই জনজোয়ারকে সাক্ষী রেখে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসকদল এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমনের পথে হাঁটেন বিজেপির ‘পোস্টারবয়’ নরেন্দ্র মোদী। কুচবিহারের রাসমেলা ময়দানের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ছোট বাচ্চার মতো আচরণ করে নির্বাচন জেতা যায় না – দিদি ও তাঁর সঙ্গীরা তাই করছেন, নাটক করেছেন দিদি। দিদি ভয় পেয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের উপর রাগ দেখাচ্ছেন দিদি – এটাই তার প্রমাণ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর আক্রমণের সুর আরও চড়া করে বলেন, বাংলায় পিসি-ভাইপোর জুটি দুর্নীতি, তোলাবাজি, গুন্ডামি করছে – সবার ভরসা ভেঙে দিয়েছেন দিদি। যতদিন গুন্ডা, তোলাবাজিদের মাথার উপর দিদির হাত থাকবে, ততদিন বাংলার উন্নতি হবে না। গত ৩ তারিখের সভা থেকেই নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’ বলে ডাকছেন – এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, এখানে ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’ আছেন – মানুষের ভরসাতেও ‘স্পিড ব্রেকার’ লাগিয়ে দিয়েছেন দিদি। দিদির জন্য এরাজ্যের কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। দিদিকে ‘সবক’ শেখানোর জন্য পশ্চিমবাংলায় ‘কমল’ ফুটবে – যত বেশি ‘কমল’ ফুটবে ততই জবাব পাবে। আর তাই, পশ্চিমবঙ্গের ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’ রাতে ঘুমোতে পারছেন না। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদনের পাশাপাশি এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর গলায় ছিল সারদা-নারদ-রোজভ্যালি থেকে শুরু করে বাংলায় কর্মসংস্থানের অভাব থেকে সরকারি কর্মীদের পে কমিশন প্রসঙ্গ। তিনি আজকের জনসভা থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, কেন সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু হচ্ছে না? বাংলায় কেন যুবকদের চাকরি হচ্ছে না? যারা সারদা-নারদা-রোজভ্যালি সব টাকা লুঠেছে – তাদের এক-এক টাকার হিসেব নেবে এই চৌকিদার। কেন্দ্রীয় সরকার কোচবিহারের উন্নয়নে ১০০ কোটি মঞ্জুর করেছে – কিন্তু তাতে কারোও কারোও অসুবিধা হচ্ছে। দিদি এমন মানুষদের সহযোগিতা করছেন, যাঁরা ভারতে ২ জন প্রধানমন্ত্রী চান! দেশের মজবুতির জন্য মজবুত সরকার চাই – মজবুত সরকারের জন্য মোদীর হাত শক্ত করতে হবে। আর তাই, আপনারা যে যেখানে ভোট দেবেন, সেটা সরাসরি মোদীর খাতায় যাবে। আপনার মতামত জানান -