এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পদ পেতে না পেতেই বিতর্কে অনুপম! পরিস্থিতি সামলাতে আসরে মুকুল! জেনে নিন

পদ পেতে না পেতেই বিতর্কে অনুপম! পরিস্থিতি সামলাতে আসরে মুকুল! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে থাকার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নানা টুইট তাকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছিল। তবে বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলাপরায়ন দলে এসে বেশ নীরবে নিভৃতেই থাকতে দেখা গিয়েছিল অনুপম হাজরাকে। তবে সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদল করা হয়। যেখানে মুকুল রায়, অনুপম হাজরা সহ বাংলার বেশ কিছু বিজেপি নেতা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পান। মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি জায়গা দেওয়া হয় এবং অনুপম হাজরাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন বিজেপির সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন বাংলার রাহুল সিনহা।

ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করা রাহুলবাবুকে সরিয়ে দিয়ে যেভাবে অনুপম হাজরাকে পদ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সেই রাহুল সিনহাকে। 40 বছর ধরে বিজেপি করার পুরস্কার দেওয়া হল তাকে বলে দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি।স্বাভাবিকভাবেই রাহুল সিনহার মত প্রথম দিনকার বিজেপি নেতার মুখ থেকে এই ধরনের কথা প্রকাশ্যে আসায় বিজেপি দলে সংশয় তৈরি হয়েছিল।

একাংশ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, অনুপম হাজরা তৃণমূল থেকে আসার সাথে সাথেই যেভাবে তাকে সর্বভারতীয় স্তরে জায়গা দেওয়া হল, তাতে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করা রাহুল সিনহার মনে তা নিয়ে ক্ষোভ বাসা বেধেছে। আর তাই তিনি নাম না করে অনুপম হাজরাকে কটাক্ষ করে দলে তাকে জায়গা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। আর এই ঘটনা নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন সদ্য সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক অনুপম হাজরা। যেখানে করোনা হলে প্রথমেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে ধরবেন বলে একটি উক্তি করেন অনুপমবাবু। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয় গোটা রাজ্যজুড়ে।

আর একদিকে যখন অনুপম হাজরার বিজেপিতে পদ পাওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ রাহুল সিনহা, ঠিক তখনই সেই অনুপমবাবু দায়িত্ব পেতে না পেতেই যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মন্তব্য করলেন, তাতে রীতিমত সরব হতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার মুখ থেকে এই ধরনের কথা আদৌ মানায় না বলে দাবি করেন শাসকদলের নেতারা। ইতিমধ্যেই সোমবার সকালে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সামনে অনুপম হাজরার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেলের সদস্যরা। জানা গেছে, অনুপমবাবুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। আর অনুপম হাজরাকে নিয়ে যখন বিতর্ক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঠিক তখনই এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার সল্টলেকের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুকুলবাবু। আর সেখানেই অনুপম হাজরার বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মুকুলবাবু বলেন, “যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক, তাদের কোনো কথা বলার আগে নিশ্চয়ই সতর্ক থাকা উচিত।” অর্থাৎ একদিকে দলে অনুপম হাজরার পদ পাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে রাহুল সিনহা সেই পদ্ধতিকে খোচা দিয়েছেন এবং তাতে অস্বস্তিতে পড়েছেন অনুপাম হাজরা এবং তারপর তার বিতর্কিত মন্তব্য বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে অনুপমবাবুর এই মন্তব্যে যে তিনি তার পাশে দাঁড়ালেন না, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মুকুল রায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

অনেকে বলছেন, রাহুল সিনহার মত নেতা যদি ভবিষ্যতে দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার বিজেপি ছাড়ার অন্যতম কারণ হবে অনুপম হাজরার পদ পাওয়া। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল সিনহার দলবদলের ফলে ব্যাপক চাপে পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিতে পদ পাওয়ার সাথে সাথেই যখন অনুপম হাজরা কিছুটা বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন, তখন রাহুল সিনহার দলবদল আটকাতে অনুপম হাজরার পক্ষ না নিয়ে “দায়িত্বপূর্ণ লোকদের মন্তব্য করার সময় সতর্ক থাকা উচিত” বলে অনুপম হাজরাকে সবক শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুকুল রায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে নতুন দায়িত্বে আসীন হতে না হতেই রীতিমত দলের ভেতরে এবং বাইরে বিতর্কের সম্মুখীন হলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অনুপম হাজরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!