এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদায় নবান্ন! অবসরের আগে বড়সড় বার্তা রাজ্যের মুখ্যসচিবের! তীব্র গুঞ্জন শুরু নবান্নের অলিন্দে

বিদায় নবান্ন! অবসরের আগে বড়সড় বার্তা রাজ্যের মুখ্যসচিবের! তীব্র গুঞ্জন শুরু নবান্নের অলিন্দে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় এক বছর রাজ্যের মুখ্যসচিবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অবশেষে বুধবার সেই পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন রাজীব সিনহা। আর বিদায় নেওয়ার 15 দিন আগে থেকেই সতীর্থদের সঙ্গে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড কিভাবে চালাতে হবে, তার ভালো-মন্দ দিক কি কি রয়েছে, তার সমস্ত কিছু সতীর্থদের কাছে তুলে ধরতে দেখা গেছে তাকে। এক্ষেত্রে বিদায় বার্তায় প্রশাসনিক স্তরে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ যেন কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা বারেবারেই সকলের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন রাজীব সিনহা।

অর্থাৎ প্রশাসনিক কাজে কে কাছের এবং দূরের, এই বিষয়টি বারেবারে মূল্যায়ন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে যাতে তা না হয়, তার জন্য সতীর্থদের কার্যত সতর্ক করেছেন তিনি। আর তার এই বার্তাকে কেন্দ্র করেই এখন তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরমহলে। সূত্রের খবর, নিজের বিদায়বার্তায় আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্তহীনতা বর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজীব সিনহা।

তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ যখন কোনো অমীমাংসিত বিষয় বা সমস্যার কথা তুলে ধরেন, তখন প্রশাসন নিরুত্তর থাকলে আমলাতন্ত্রের প্রতি মানুষের বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। মানুষের অযৌক্তিক অনুরোধ মানা সম্ভব না হলে সেই সিদ্ধান্ত চটজলদি দৃঢ়ভাবে নিতে হবে। তবেই সমাজে আমলাতন্ত্রের প্রতি আস্থা বাড়বে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, সাম্প্রতিককালে করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ভয়াবহ দুর্যোগ আমপান, বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষতিপূরণ সহ একাধিক ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য প্রশাসন। আর বিদায় বার্তায় সমস্যার সমাধান করতে যাতে কেউ কোনো সময় সিদ্ধান্তহীনতায় না ভোগেন, তার জন্যই সতীর্থদের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যসচিব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের শীর্ষস্তরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন এই রাজীব সিনহা। তাই বিদায় লগ্নে যারা নতুন দায়িত্বে আসবেন, তারা যাতে কাজের ক্ষেত্রে কোনোরকম বাধার সম্মুখীন না হন, তার জন্যই তিনি তার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করে নিলেন। এদিন রাজীববাবু বলেন, “সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বাড়ানো প্রত্যেক অফিসারের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কেউ কেউ তা করেন না। জুনিয়র অফিসারদের ভুল ধরলেও কি এবং কেন ভুল হল, তাও ব্যাখ্যা করা জরুরী। বড় প্রেক্ষাপটে ভাবনা চিন্তা করা থেকে পিছু হটলে চলবে না। তাই স্বল্পমেয়াদির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা উচিত।”

কিন্তু বিদায়লগ্নে যেভাবে সতীর্থদের একাধিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে দেখা গেল তাকে, তাতে এর পেছনে কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বিদায়ী মুখ্যসচিব বলেন, “এতদিন ধরে যা শিখেছি, জেনেছি, বুঝেছি, তা সঙ্গে নিয়ে চলে যেতে পারি না।। তাই পরবর্তী প্রজন্মের অফিসারদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলাম।” সব মিলিয়ে বিদায়লগ্নে হাসিমুখে ভবিষ্যতের অফিসারদের কাজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সঠিক পথে এগোনোর বার্তা দিলেন বিদায়ী মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!