এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদে ইস্তফা? হেভিওয়েট সাংসদের মন্তব্যে অস্বস্তি তৃণমূলের!

পদে ইস্তফা? হেভিওয়েট সাংসদের মন্তব্যে অস্বস্তি তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   একসময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শেষ কথা বলতে অধিকারী পরিবার। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই চিত্রের পরিবর্তন হতে শুরু। শুভেন্দু অধিকারীর পর পরবর্তীতে শিশির অধিকারীর মত বর্ষিয়ান নেতা যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের সাংসদ হয়ে শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করলেও কেন তার সাংসদ পদ খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

সম্প্রতি এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয় ঘাসফুল শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আর তার মাঝেই দুর্যোগ-পরবর্তী দীঘার বিপর্যয় সহ একাধিক বিষয়ে যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হচ্ছে এক সময় রাজ্যের মন্ত্রী থাকা শুভেন্দু অধিকারী এবং দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকা শিশির অধিকারীকে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা তারা কোনো দুর্নীতি করেননি বলে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শিশির অধিকারী। পাশাপাশি তার সাংসদ পদ থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনে সেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। বস্তুত, দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই নাম না করে বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাকে নাবালক নেতা বলে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তার খাসতালুকে গিয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাবালক নেতা দায়িত্ব পালন করছে না। তাই তো নাবালক নেতাকে দেখতে আসতে হল।” পাশাপাশি এতদিন দীঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকা শিশির অধিকারীকেও নাম না করে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শিশির অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “এর আগে আমি অনেক পদ ছেড়ে দিয়েছি। প্রয়োজনে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতেও আমি পিছপা হব না। তদন্তে আমি ভয় পাই না দুর্নীতি থাকলে ধরুক।” আর বর্ষীয়ান নেতার এই মন্তব্যে এখন ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেননা দলত্যাগ বিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবিলম্বে যাতে তার সাংসদ পদ খারিজ করা যায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান এই নেতার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে।

তাই সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে তার কোনো আপত্তি নেই বলে পদের প্রতি যে অধিকারী পরিবারের বড় কর্তার কোনো মোহ নেই, তা আরও একবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। পাশাপাশি পুত্র এবং তার বিরুদ্ধে যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে দিতে দেখা গেল শিশির অধিকারীকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!