প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনৈতিক মতানৈক্যকে অগ্রাহ্য করে দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক তুচ্ছ সংঘাত ভুলে যৌথভাবে কাজ করাই যে গণতান্ত্রিক কাঠামোর লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেকথা একজন রাজনীতিবিদের কাছে অজানা নয়। বস্তুত দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিজেপির সঙ্গে মতানৈক্য ভুলে রাজ্যের মানুষের অসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখতে দেখা গেল সৌগত রায়কে।

করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষের রুজিরোজগার বন্ধ হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশবাসী পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনাতে এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে সারাদেশে খাদ্য দ্রব্য বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। আর এই প্রকল্পের আওতায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও। আর সেই পরিষেবার মেয়াদ বৃদ্ধি করতেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে দেখা গেছে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে।

বস্তুত অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনকে সমর্থন জানিয়েই আরো চার মাস বিনামূল্যে কেন্দ্র রেশনের ব্যবস্থা করুক, এমনই অনুরোধ জানাতে দেখা গেছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন নভেম্বর নয়, করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্র বিনামূল্যে রেশন দেবার ব্যবস্থা করুক।

আর এই আবেদন পত্র সৌগত রায় মোদিকে লেখা নিজের চিঠিতে রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করেছেন বলে জানানো হয়েছে। যেখানে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের অবদানের মর্মে চিঠি লেখা হয়েছিল বলে জানা যায়।

লকডাউন চালু হওয়ার পর দফায় দফায় তিন মাস প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনাতে দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছিল বলেই জানা যায়। পরবর্তীকালে তা কয়েক মাস বাড়ানো হয়। চাল, ডাল, ছোলার মত নিত্যপ্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রীর নিম্নমান নিয়ে সেই সময় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হয়।

কিন্তু তারপরেও রাজ্যবাসী প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণই রেশন পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে কিছুদিন আগে কেন্দ্রকে সময় মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ না করার দরুন নভেম্বর মাসে কেন্দ্র-রাজ্যকে রেশন দেবে না বলে জানানো হয়েছিল। এবং তার পরে আবারো নতুন করে সংঘাত হয় কেন্দ্র রাজ্যের। তবে এরই মাঝে সৌগত রায়ের এহেন আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেন কিনা এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।