এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদ্ম শিবিরে বড় ফাটল, দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি হেভিওয়েট বিজেপি নেতার!

পদ্ম শিবিরে বড় ফাটল, দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি হেভিওয়েট বিজেপি নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল ছেড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিশিষ্ট ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়ে গেল তার। এবার নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেস ফিরতে চেয়ে নিজের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে কাতর আবেদন জানালেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। যার জেরে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে অনেক হেভিওয়েট নেতা এবং জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন। সোনালী গুহ থেকে শুরু করে অমল আচার্য, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে সরলা মূর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাসরা নিজেদের হাতে গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিয়েছিলেন। তবে ভোটে বিজেপি অভূতপূর্ব ফলাফল না করার পরই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে।

সম্প্রতি আবার তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন সোনালী গুহ। আর তারপরই বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা দলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই একই পথে হেটে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখলেন দীপেন্দু বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল দীপেন্দুবাবুকে প্রার্থী করেছিল। যেখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হয়নি। আর এরপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বিজেপিতে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি তিনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দীপেন্দু বিশ্বাসের বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। আর এবার তৃণমূল থেকে যাওয়া অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা যে পথে হাঁটলেন, সেই পথেই হাঁটতে দেখা গেল বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন দীপেন্দু বিশ্বাস। যেখানে তিনি লেখেন, “প্রথমে আমার প্রণাম নেবেন। বেশ কিছুদিন আগে অভিমানে ভুলবশত আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। নির্বাচনের সময় আমি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি এবং সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বিগত দিনে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার জন্য যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন, সেজন্য আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এমতাবস্থায় আপনার অনুমতি স্বরূপ ক্ষমাপ্রার্থনা করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সী (দার) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিক রূপে আগামী দিনে উন্নত বাংলা গড়তে শামিল হতে চাই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ফলাফলে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পরেই একের পর এক নেতা নেত্রী যেভাবে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন, তাতে বিজেপির অস্বস্তি যে ক্রমশ বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন ভারতীয় জনতা পার্টির এই অবস্থা! কেন তাদের দলের কর্মী বা নেতাদের তারা দলে রাখতে অক্ষম, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তবে একের পর এক নেতা নেত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করলেও, তৃণমূল তাদের কতটা গ্রহণ করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা অন্য দলে গিয়েছিলেন এবং এখন দলে যোগদান করতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, তাদের ব্যাপারে এখন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। এক্ষেত্রে 6 মাস দল তাদেরকে গ্রহন করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা-ভাবনা করবে না দল বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়।

আর এই পরিস্থিতিতে সেদিক থেকে অন্য দলে যাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভুল স্বীকার করে নিলেও, দীপেন্দু বিশ্বাসের তৃণমূলে গ্রহণ পর্ব অতটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দীপেন্দু বিশ্বাসকে গ্রহণ করার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!