এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদত্যাগ করার পরই বিস্ফোরক রাজীব! ব্যাপক চাপে তৃণমূল!

পদত্যাগ করার পরই বিস্ফোরক রাজীব! ব্যাপক চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন। তবে দিনকে দিন তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা অবশেষে আজ হঠাৎ করেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র রাজভবনে পাঠানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা।

আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যেভাবে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা গেল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে আলোরন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। নির্বাচনের আগে একের পর এক মন্ত্রীর ইস্তফা এবং এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত স্বচ্ছ ব্যক্তির পদত্যাগ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে আফসোসের সুর শোনালেন তিনি, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তারপর একসময় সেচমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, তার কাছ থেকে কিছুই জানা হয়নি বলে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “আমার মনে অনেক চাপা ক্ষোভ ছিল। অনেক অভিমান ছিল। সেগুলো একদিনে হয়নি। অনেকেই জানেন না, আমি আড়াই বছর আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতাম। মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে যদি কেউ ছাপ ফেলে যায়, সেটাই বড় কথা। কেউ চিরকাল এক দপ্তরের মন্ত্রী থাকেন না। আমিও থাকব বলে আশা করিনি। তবে আমার মন্ত্রিত্ব বদল করা হয়েছে আমাকে কিছু না জানিয়েই। এই ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অন্তত সৌজন্যে আশা করেছিলাম। আমাকে অন্তত জানানো হবে দফতর বদলের কথা, এটা আশা করেছিলাম। আমি টিভিতে দেখে জানতে পেরেছি, আমাকে সেচ দপ্তর থেকে বনমন্ত্রী করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফার পর এই ধরনের মন্তব্য যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার বিরোধীরা তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেবে। এমনিতেই কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলকে “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি” বলে দাবি করতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, নিজের প্রাক্তন দলকে কটাক্ষ করে একজন সব সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

আর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে একসময় তাকে সেচমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিলেও কিছুই জানানো হয়নি বলে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। সত্যিই কি সেচমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময় কিছুই জানানো হয়নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে? অনেকে বলছেন যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে তিনি যে সৌজন্যতার অভিযোগ তুলছেন, তা কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। সব মিলিয়ে ডোমজুড়ের বিধায়কের এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!