এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শুভেন্দু গড়ে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই বিজেপি নেতা, মিথ্যা অভিযোগ দাবি দলের

শুভেন্দু গড়ে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই বিজেপি নেতা, মিথ্যা অভিযোগ দাবি দলের


অতীতে পুলিশকে বোম মারতে বলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর যা নিয়ে উঠতে-বসতে বিজেপির পক্ষ থেকেও তীব্র কটাক্ষ করা হয় তাকে। কিন্তু এবারে সেই বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল পুলিশকে মারধরের অভিযোগ। আর যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খেজুরির কুলঠা-মিঁয়ামোড় এলাকায়। কিন্তু হঠাৎ এই আইন রক্ষক দের গায়ে কেন হাত তুলতে গেল বিজেপি কর্মীরা?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুর্গাসপ্তমীর দিন এই কুলঠা মিঁয়ামোড় এলাকায় বছর 55 র সহদেব মন্ডলের হোটেলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবকদের সাথে একটি বচসা বাধে। অভিযোগ, সেখানেই ছুরির কোপ মেরে খুন করা হয় সেই সহদেব মন্ডলকে। আর এরপরই গত শনিবার সেই মৃত সহদেব মন্ডল এর স্মরণ সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর পরিবহন মন্ত্রী চলে যাওয়ার সাথে সাথেই তার পরদিনই সেই সহদেব মন্ডল এর বাড়িতে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসেন স্থানীয় বিজেপির নেতাকর্মীরা। আর বিজেপির এহেন কার্যকলাপের তীব্র আপত্তি জানায় মৃত সহদেব মন্ডলের পরিবার। এদিকে পরিবারের আপত্তি থাকায় সেই বিজেপি কর্মীদের মৃত সহদেব মন্ডলের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন কিছু পুলিশ অফিসার এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এই ঘটনার জেরেই শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড।

জানা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপির খেজুরি পূর্ব মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সদানন্দ দাস এবং কুলঠা বুথের সভাপতি প্রেমানন্দ প্রধান সেই পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও হন। আর এরপরই সেই দুই বিজেপি নেতা সহ বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। সূত্রের খবর, রবিবার সেই ধৃত দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার তাদের আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন কাঁথি মহকুমা আদালতের বিচারক। তবে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি নেতৃত্ব।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এদিন এ প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব মন্ডলের সভাপতি সুমন দাস বলেন, “আমাদের দুই নেতাকে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে। প্রকৃত হামলাকারীদের না ধরে দলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা সত্যিই অনুচিত।” তবে বিজেপি নেতারা যাই দাবি করুন না কেন খোদ পরিবহন মন্ত্রীর গড়ে যেভাবে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির দুই সদস্য তাতে প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!