এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুলিশের অকর্মণ্যতা প্রমাণে অশালীন ভাষায় আক্রমণ বাংলার বিজেপি সাংসদের! শুরু তীব্র বিতর্ক

পুলিশের অকর্মণ্যতা প্রমাণে অশালীন ভাষায় আক্রমণ বাংলার বিজেপি সাংসদের! শুরু তীব্র বিতর্ক


 

বাংলা থেকে বিজেপির যে 18 জন সাংসদ লোকসভায় গিয়েছিলেন, তার মধ্যে অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ হিসেবেই পরিচিত বাঁকুড়ার সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার। চিকিৎসক এবং সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করার সুভাষবাবুর মুখে কখনও বেলাগাম মন্তব্য শোনা যায়নি। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যখন বিক্ষোভ চলছে, ঠিক তখনই সেই সুভাষ সরকারের গলায় শোনা গেল অশালীন মন্তব্য। যা নিঃসন্দেহে বাংলার মহিলা তথা পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত লজ্জায় ফেলে দিল। শুধু তাই নয়, এর থেকেও চরম অস্বস্তিতে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা যায়, গত রবিবার নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় কোটাসুরে একটি মিছিল করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই মিছিল থেকেই বিজেপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এদিন দুপুরে সেই দলের কার্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। যা রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে ময়ুরেশ্বরের কোটাসুরে দলীয় কার্যালয় পরিদর্শনের পর সুভাষ সরকার বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায় রাজ্য পুলিশের। সমস্ত জেহাদী অনুপ্রবেশকারীরা যখন ট্রেন ভাঙছে, পুলিশ ও আরপিএফকে মারছে, তখন পুলিশ কি করছিল!” আর এরপরই হঠাৎই মুখ থেকে পুলিশের উদ্দেশ্যে অশালীন এবং কটুক্তিজনক মন্তব্য করেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষবাবু। আর যখন তিনি এই মন্তব্য করছেন, ঠিক তখনই তার পাশে তার দলের মহিলা নেত্রী এবং কর্মীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে গোটা ভারতীয় জনতা পার্টিকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক মহিলা নেত্রী বলেন, “উনি একজন চিকিৎসক এবং সাংসদ। ওনার মুখ থেকে এমন ভাষা সত্যিই লজ্জার।” সত্যিই তো তাই। একজন সাংসদ, তিনি পুলিশের সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেই পারে। কিন্তু তাতে অশালীন মন্তব্য করতে হবে কেন! শালীনতা বজায় রেখে কি পুলিশকে আক্রমণ করা যায় না! অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের অনেক নেতার মুখ থেকে মাঝেমধ্যে অশালীন মন্তব্য বেরিয়ে পড়ে। তবে বিজেপি সাংসদের মুখ থেকে এবার সেইরকমই অশালীন মন্তব্য বেরিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল আর বিজেপি মধ্যে কোনো পার্থক্যই থাকল না বলে দাবি একাংশের।

তবে সুভাষ সরকারের এহেন অশালীন মন্তব্য নিয়ে তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী বলেন, “এই দলে মহিলাদের কোনো সম্মান নেই। না হলে উনি মহিলা নেত্রী ও কর্মীদের সামনে এভাবে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতেন না।”

সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মিছিল থেকে তাদের অফিসে ভাঙচুর হলেও, এর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে নিজের দলকেই বিপাকে ফেললেন সুভাষ সরকার বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন বিজেপি সুভাষবাবুর এই মন্তব্যকে “ব্যক্তিগত মন্তব্য” বলে দায় এড়িয়ে যায়! নাকি অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!