এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বামপন্থী ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে “অশোভন” ব্যবহার করে এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই শাস্তির দাবি

বামপন্থী ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে “অশোভন” ব্যবহার করে এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই শাস্তির দাবি


গতকাল ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে প্রথম দিনের বনধে রাজ্যজুড়ে অবরোধ, বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন প্রচুর বামপন্থী কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু সেই কর্মী- সমর্থকদের গ্রেপ্তার করার পর কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে আনার জন্য এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই সরব হতে দেখা গেল বামপন্থী আইনজীবিদের।

রাজনৈতিক বন্দীদের এইভাবে কোমরে দড়ি পরিয়ে আদৌ আদালতে আনা যায় কিনা তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।

সূত্রের খবর, এদিনের এই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশের দুটি থানা এলাকা থেকে মোট 18 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর পুলিশের পক্ষ থেকে এই 18 জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতারের পর এদিন তাদের আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ ঘোষের এজলাসে হাজির করানো হয়।

আর সেখানেই সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং ধৃতদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। আর এখানেই বাধে বিপত্তি। পাল্টা মুখ খুলে রাজনৈতিক বন্দীদের আদৌ কোমরে দড়ি বেঁধে আনা যায় কিনা তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সরব হন বামপন্থী আইনজীবীরা।

জানা যায়, এদিন এই ধৃতদের আদালতে তুললে তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং বলেন, “পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রয়েছে। প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং গণ্ডগোল পাকানোর পাকানোর জন্যই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই তাঁদের জামিনের আবেদন বাতিল করা হোক।”

আর এরপরই পাল্টা বামপন্থী আইনজীবীরা ধৃতদের পক্ষে সওয়ালে বলেন, “কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন তো ঘরে বসে হয় না। পুলিশ যদি ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনের উপর হস্তক্ষেপ করে তাতে কারোর কিছু করার নেই। পুলিশ নিজে থেকেই ধর্মঘটীদের ওপর বলপ্রয়োগ করেছে।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এদিন আদালতে সার্ভে পার্ক এবং গড়ফা থানা এলাকা থেকে ধৃতদের মধ্যে কিছু জনকে পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। পরে অবশ্য দুপক্ষের কথা শুনে বিচারক প্রত্যেক অভিযুক্তকে 500 টাকার জামিনে মুক্তি দেন। আর এরপরই কোর্ট চত্বরে এই বনধ সমর্থনকারীদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে।

তবে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে কেন এইভাবে দড়ি পরিয়ে আদালত পর্যন্ত নিয়ে গেল পুলিশ তা নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। সব মিলিয়ে প্রথম দিনের বামেদের ধর্মঘটে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলেও আজ দিনের শেষে বামেদের এই দুই দিনের সার্বিক ধর্মঘট রাজ্যে ঠিক কতটা সাফল্যের মুখ দেখল তার দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!