পুলিশকে পরিবহন মন্ত্রীর পরিচিত বলে ধম্কানোর অভিযোগ উঠলো খোদ শুভেন্দু গড়ে মেদিনীপুর রাজ্য September 9, 2018 মদ্যপ পর্যটক ট্রাফিকের আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে মন্ত্রীর পরিচিত হিসাবে পরিচয় দিল খোদ পরিবহন মন্ত্রীর এলাকাতেই| ঘটনাটি ঘটে গতকাল দুপুরে নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়কে। অভিযুক্ত অভিজিৎ দত্ত পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এমন ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে । পরে অভিযুক্ত পর্যটকরা ভুল স্বীকার করায় ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। গতকাল দুপুর ২.৩০ নাগাদ একটি টয়োটা গাড়িতে কলকাতা থেকে দিঘা যাচ্ছিলেন ৬ পর্যটক। গাড়ির মধ্যেই চলছিল সুরা পান|। হেড়িয়া মোড়ের কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ ট্রাফিক নিয়মভঙ্গ করার কারণে গাড়িটি আটকাতেই শুরু হয় হম্বিতম্বি| অভিযুক্ত পর্যটক অভিজিৎ দত্ত কলকাতার এক ব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং নিজেকে IAS পরিচয় দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকর্মীদের চাপ দেন। শুধু তাই নয়, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলেও দাবি জানাতে থাকে পুলিশ কর্মীদের| এখানে গল্প শেষ নয়| টয়োটা গাড়িটি মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পুরোনো গাড়ি বলেই দাবি জানাতে থাকে ওই পর্যটক| প্রথমে পুলিশকর্মীরা চমকে গেলেও পরে বুঝতে পারে মদ্যপের প্রলাপ| তারপর পুলিশ তাদের নিয়ে যায় হেড়িয়া ফাঁড়িতে| সেখানে এক পুলিশ আধিকারিককে অভিজিৎ বলেন যে, “অজিত দা, মৃগেনদা (অজিত মাইতি, মৃগেন মাইতি যতদূর সম্ভব) তোমাকে মারবে ধরে।” যখন এক সাংবাদিক তাঁকে বলেন, “শুভেন্দুবাবু ফোনে আছেন।” অভিজিৎ বলেন, “দিন না ফোনটা আমায়।” ফোন না দিতে চাওয়ায় অভিজিৎ বলেন, “খুব ক্ষতি হবে আপনার। এখনও খেলাই শুরু হয়নি। খালি বেরোতে দিন আমাকে। আপনাকে তুলে নিয়ে যাব।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পরে অবশ্য অভিযুক্ত পর্যটকরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পরেও অভিযুক্ত পর্যটক অভিজিৎ দত্ত দাবি জানান যে, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে তাদের আটক করেছিল। শুভেন্দু অধিকারী পরিচিত হিসাবে দাবি জানিয়ে বলেন উনি নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দেননি| বরং IAS অফিসার ওনার পরিচিত এটার দাবি করেন| কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, “পুলিশের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় অশালীন আচরণ ও ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার কারণে ওই পর্যটকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে।” আপনার মতামত জানান -