একদিকে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বিজেপির অনশন, অন্যদিকে পুলিশের জালে জমি মাফিয়া উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 30, 2018 দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিনত হয়েছে এই অভিযোগ করে আসছে বিরোধী দলগুলো। এবার সেই বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকেই তাঁদের নেতাকে তৃনমূলে টানার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ডিআইবি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে তৃনমূল। আর তাই প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে আলিপুরদুয়ারের চা বাগানের দলীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বারলাকে নিজেদের দলে টানতে চাইছে শাসকদল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কিন্তু এইভাবে আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় নৃ। তাই এবারে সেই তৃনমূল কংগ্রেসকে আটকাতে নিজেদের রননীতির কথা ঘোষনা করলেন জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যদি দলের নেতা কর্মীদের আর কোনোরুপ হয়রানির শিকার হতে হয় তবে জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যায় লাগাতায অনশন চালানোর হুশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলার পার্টি অফিসে বসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক পুলিশ আধিকারিক যে তাঁদের কর্মীকে তৃনমূলে আসার ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে সেই ভয়েস রেকর্ড তুলে ধরেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। পাশাপাশি কুমারগ্রাম ও ফালাকাটা থানার আইসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। তবে তৃনমূলের পক্ষ থেকে পুলিশকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের দলে টানার ব্যাপারে এহেন হুমকি কেন? সে ব্যাপারে জানতে চাওয়ার ব্যাপারে ফোন করা হলে নিজের টেলিফোন বন্ধ করে রেখেছেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি মোহন শর্মা। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বারলাকে দলে টানার ব্যাপারে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল তৃনমূল। এদিন এক পুলিশ আধিকারিক সেই জন বারলাকে ফোন করে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার কথা বললে নতুন করে এক বিতর্ক তৈর হয়। তবে উত্তরবঙ্গের এক জেলায় যখন পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে বিজেপি ঠিক তখনই পাশের জেলা শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়াদের আটকাতে প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেখা গেল প্রশাসনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে এনজেপি থানার পুলিশ ফুলবাড়ি থেকে জমি মাফিয়াচক্র চালানোর অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে। জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন পিন্টু রায়, দেবী ধর, গোপাল নস্কর ও পিয়ারুল মহম্মদ। এরমধ্যে ফুলবাড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধানের ভাই পিয়ারুল মহম্মদ। অভিযোগ ধৃতদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ি 1 ও নং পঞ্চায়েতে জমি দখল ও তা বিক্রি, ভুয়ো কাগজ তৈরি ও ভয় দেখানোর মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিকে এই ধরপাকড় যে অব্যাহত থাকবে সেই ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার গৌরব লাল। অনেকেই মনে করছেন, শিলিগুড়িতে অপরাধকে দমাতে পুলিশের এহেন উদ্যোগে যখন প্রত্যেকে খুশি, ঠিক তখনই পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই বিরোধীদলের সদস্যকে শাসকদলের যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সংষ্টির অভিযোগ ওঠায় যেন এক বালতি দুধে এক ফোটা চোনা পড়ায় পুরো দুধটাই নষ্ট হয়ে গেল। আপনার মতামত জানান -